শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

‘বঙ্গবন্ধু লেবাস সর্বস্ব নয় ইনসাফের ইসলামে বিশ্বাসী ছিলেন’

সেমিনারে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:১৬ পিএম

ছবি: ইকবাল হাসান নান্টু


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লেবাস স্বর্বস্ব ইসলামে নয়, ইনসাফের ইসলামে বিশ্বাসী ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের একক ও সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে পাকিস্তান বেতার ও টেলিভিশনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- “আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, আমরা ইসলামে বিশ্বাসী নই, এ কথার জবাবে আমার সুষ্পষ্ট বক্তব্য, আমরা লেবাস স্বর্বস্ব ইসলামে বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে। আমাদের ইসলাম হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর ইসলাম, যে ইসলাম শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। যে দেশে শতকরা ৯৫ জনই মুসলমান সে দেশে ইসলাম বিরোধী আইন পাশের কথা ভাবতে পারেন তারাই ইসলামকে যারা ব্যবহার করেন দুনিয়াটা ফারস্থা করে তোলার কাজে।

মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীস্থ গাউসুল আজম কমপ্লেক্স মিলনায়তনে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ইসলামের সেবায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক সেমিনার ও আলোচনা সভায় সংগঠনটির নেতারা এসব কথা বলেন।

মাদরাসা শিক্ষায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে তারা বলেন, মরহুম মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশকে চেয়ারম্যান করে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের কার্যক্রম পুনরায় চালু করেন। তিনি ক্ষমতাসীন থাকাকালে মাদরাসার জন্য সরকারী অনুদান বন্ধের একটি প্রস্তাব সম্বলিত নথি বঙ্গবন্ধুর নিকট উপস্থাপন করা হলে তিনি ফাইলে লিখেন যে, মাদরাসা শিক্ষার জন্য যে বরাদ্দ এতদিন ছিল, সেটাই থাকবে। তবে ভবিষ্যতে এ বরাদ্দ আরো বাড়ানো যায় কি না এবং কতটা বাড়ানো যায় তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

জমিয়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন মন-মানসিকতায় ধর্মপ্রাণ। ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য তিনি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় বেতার ও টেলিভিশন কুরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু এবং রাতে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানমালার সমাপ্তি ঘটে। ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকায় সীরাত মজলিশ গঠন করে ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে বায়তুল মোকাররম মসজিদ চত্বরে জাতীয় পর্যায়ে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম উদযাপন মাহফিলের শুভ উদ্বোধন, বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গিতে সরকারি জায়গা বরাদ্দ, কাকরাইলের মারকায মসজিদ সম্প্রসারণের জন্য জমি বরাদ্দ প্রদান। হজ্ব পালনের জন্য সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা, শব-ই-বরাত, শব-ই-কদর উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা। মদ-জুয়া-হাউজি-লটারী ও অসামাজিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধকরণ ও শাস্তির বিধান, সরকারী অনুষ্ঠানে বিদেশী মেহমানদের জন্য মদ পরিবেশন বন্ধ করা। রেসকোর্স ময়দানের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা বন্ধকরন, চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সকে ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ন্যস্তকরণ, হজ্ব পালনে সরকারী অনুদানের ব্যবস্থা, হজ্ব ভ্রমনে কর রহিতকরণ, রাশিয়াতে প্রথম তাবলীগ জামাত প্রেরণ, ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে আরব বিশ্বের পক্ষ সমর্থন ও সাহায্য প্রেরণ করেন। এছাড়াও ১৯৭৪ সালে ও আই সি সম্মেলনে যোগদান করে মুসলিম উম্মাহর সম্পর্ক সুসংহত করার উপর জোর তাগিদ দেন এবং ফিলিস্তিনি মুসলমানদের পক্ষে বলিষ্ঠ যুক্তি তুলে ধরেন। এককথায় বলা যায় বঙ্গবন্ধু নয় কোন ব্যক্তির, নয় কোন দলের বা নয় কোন গোষ্ঠীর, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।

ইসলামি ফাউন্ডেশনের গভর্নর, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সহ-সভাপতি ও ঢাকা নেছারীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার ছালেহীর সভাপতিত্বে সেমিনারে অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইসলামী অনুশাসন পালন ও আমলের পাশাপাশি আলেম-ওলামাদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভক্তি অনেক বেশি। কারণ তিনি আউলিয়া কেরাম, আহলে সুন্নাতের উত্তরসূরি। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক জীবনেও দুইজন মাওলানার সান্নিধ্য পেয়েছেন। এদের একজন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, অন্যজন মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ। বঙ্গবন্ধুর সময়ে ইসলামী শিক্ষা, মাদরাসা শিক্ষার যেমন সার্বিক উন্নয়নের সূচনা হয়েছে। তাঁর সময়েই ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মাদরাসা শিক্ষার বিষয়ে জমিয়তের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষার সাথে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সম্পর্ক অঙ্গাঅঙ্গি। এই শিক্ষার উন্নয়নের কাজ থেকে জমিয়াত এক দিনের জন্যও দূরে সরে থাকেনি। এই সরকারের সময়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বৈষম্য নিরসনসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল কিছুই জমিয়াতের দাবির প্রেক্ষিতেই বাস্তবায়ন হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ৮ম শ্রেণির আরবি সাহিত্যের পাঠ্যসূচিতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, স্মৃতিসৌধ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে জমিয়াতের পরামর্শেই। এছাড়া মাদরাসার জন্য যে জনবল কাঠামো জারি করা হয়েছে সেটিও জমিয়াতের নেতৃত্বেই। এসময় তিনি সকল ক্ষেত্রে চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানান।

জমিয়াতের বিরুদ্ধে নানা প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে মন্তব্য করে সংগঠনটির মহাসচিব বলেন, জমিয়াতের ঐক্য ও সরকারের কাছ থেকে মাদরাসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দাবি আদায়ের সফলতা দেখে একটি গোষ্ঠী সব সময় ঈর্ষাণি¦ত হয়। এজন্য তারা সারাদেশে অনেক চেষ্টা করেছে, আমাদের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রলোভন দেখিয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। শেষে তারা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে সকলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। তবে জমিয়াতের ঐক্য নষ্ট করতে পারেনি।

কর্মসূচি ঘোষণা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের সকল মহানগর, জেলা, উপজেলা এবং প্রত্যেকটি মাদরাসায় ‘ইসলামের সেবায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা করার ঘোষণা দেয়া হয়। একই সাথে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় শীতবস্ত্র বিতরণ করতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

জমিয়াতের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সেমিনারের প্রধান আলোচক অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী দিনের বিশ্ব হচ্ছে মুসলমানদের, ইসলামের। ধীরে ধীরে ইসলামের বিজয় সম্প্রসারিত হচ্ছে। এজন্য ¯্রােতের বাইরে যাওয়া যাবে না। ইসলামী বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এখন থেকেই মাদরাসা ও ইসলামী শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আরবি ভাষা শিক্ষার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। আর এটি হবে মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাধ্যমেই।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাওলানা ড. মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার ছালেহী বলেন, আমরা যতই মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে কাজ করছি, ততই আমাদের বিরুদ্ধে বিপরীত একটি পক্ষ কাজ করছে। তাই চোখ বন্ধ করে রাখলে হবে না, চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে। আমাদের যেন কেউ বিভ্রান্ত করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ড. একেএম মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আ খ ম আবুবকর সিদ্দীক, অধ্যক্ষ, দারুন্নাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা, ডেমরা, ঢাকা, ড. মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম আল-মারুফ, অধ্যক্ষ, হোসাইনিয়া দারুল উলুম কামিল মাদরাসা, মহাখালী, ঢাকা, মাওলানা মুহাম্মদ এজহারুল হক, অধ্যক্ষ, গাউছিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা, মাওলানা আবু জাফর মো. ছাদেক হাসান, অধ্যক্ষ, দারুল ফালাহ্ ছালেহীয়া সাহেব আলী আলিম মাদরাসা, তুরাগ, ঢাকা, মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান, মুহাদ্দীস, হোসাইনিয়া দারুল উলুম কামিল মাদরাসা, মহাখালী, ঢাকা, মাওলানা মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, অধ্যক্ষ, মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা, মানিকগঞ্জ সদর, মাওলানা মো. আব্দুল জলিল মিয়া, অধ্যক্ষ, কুমরাদী ফাযিল মাদরাসা, নরসিংদী, মাওলানা মো. আব্দুল হাই, অধ্যক্ষ, কালাদী হাজী শাহাজ উদ্দীন কামিল মাদরাসা, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মাওলানা মো. নোমান ছিদ্দিকী, অধ্যক্ষ, মুগরাকুল মোহাম্মদীয়া আলিম মাদরাসা, নারায়ণগঞ্জ, মাওলানা মো. শাহজাহান মিয়া, অধ্যক্ষ, নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা, নারায়ণগঞ্জ সদর, মাওলানা মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ, অধ্যক্ষ, ভূইঘর দারুচ্ছুন্নাহ ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা, নারায়ণগঞ্জ, মাওলানা মো. আব্দুল হাকিম মিয়া, অধ্যক্ষ, আমলিয়া মেন্দিপুর ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা, ডেমরা, ঢাকা, মাওলানা মো. ফারুক আহমদ হাওলাদার, সুপার, বাইতুল হুদা দাখিল মাদরাসা, পিরোজপুর, মাওলানা মো. বদিউল আলম, প্রধান মুহাদ্দীস, উত্তর বাড্ডা ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা, ঢাকা, মাওলানা মো. মুস্তাফিজুর রহমান, আরবি প্রভাষক, মাহমুদা খাতুন মহিলা কামিল মাদরাসা, আরমানীটোলা, ঢাকা, মাওলানা মো. তোজাম্মল হক, সহঃঅধ্যাপক, আদর্শ ইসলামি মিশন মহিলা কামিল মাদরাসা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা, মাওলানা মো. মামুনুর রশিদ, প্রভাষক (আরবি), নাজমুল হক মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা, গোড়ান, ঢাকা, মাওলানা মো. আবুল হাশেম, অধ্যক্ষ, ডগাইর দারুচ্ছুন্নাত ফাযিল মাদরাসা, ডেমরা, ঢাকা, আবু জাফর মো. ছালেহ, মো. আলমগীর ভূইয়া, কে এম সাইফুল্লাহ, মো. আবুল কাসেম, মো. মহিউদ্দীন কামালী, মো. জমির খান প্রমুখ। সেমিনার ও আলোচনা সভায় জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মনোনিত নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ramzan ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:০১ পিএম says : 0
বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা সুরক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। কিন্তু পরিতাপের বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বকে ঘিরে জাতীয় ঐক্য আজ দ্বিধা বিভক্ত। যতদিন বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগের নেতা ভাবা হবে, জাতীয় নেতা ভাবা হবে না ততদিন জাতীয় ঐক্য সুদূরপরাহত। বঙ্গবন্ধুর প্রতি এক প্রকার মিথ বা বদ্ধমূল ধারণা যে, বঙ্গবন্ধু ইসলামের প্রতি বিরূপভাবাপন্ন। এটা উপলদ্ধি করেই বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত রেডিও ভাষণে (যা আমরা সকর্ণে শুনেছিলাম ট্রানজিস্টারে) বিষয়টি সুস্পস্ট করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ বিষয়টি সুস্পষ্ট করেছিলেন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এ্এইচএম কামরুজ্জামানও। বিদেশী সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। পক্ষান্তরে পাকিস্তান সরকারের দাবীঃ পাকিস্তান থাকলে ইসলাম থাকবে। মুক্তিযুদ্ধ বাস্তবে দুই প্রকারের ছিল ১) সামরিক বা দৈহিক ২) স্মায়ু বা মনস্তাত্বিক । মনস্তাত্ত্বিকভাবে পাক সরকার যুদ্ধের অবতারণা করেছিল এই বলে যে, মু্ক্তিযুদ্ধ অনৈসলামিক। এতে ধর্মপ্রাণ মুসলিম তরুন যুবকদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানে দ্বিধা বিভক্তি দেখা দিলে বিপ্লবী সরকার স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র হতে তেলোয়াতে কুরআনে সম্প্রচার করা হয় এবং অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসানের প্রযোজনায় ইসলামের আলোকে শীর্ষক মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব সম্পর্কিত নিয়মিত কথিকা পাঠ করা হয়।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন