ইইউ’র দেশগুলোতে প্রবেশের লক্ষ্যে বসনিয়ার জঙ্গলে অবস্থান করা বাংলাদেশিসহ অভিবাসন প্রত্যাশীরা প্রাণে বেঁচে থাকার ন্যূনতম পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে। আশ্রয়শিবির পুড়ে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দেশটির সেনাবাহিনী অস্থায়ী তাবু খাটানোর কাজ করলেও জীবন ধারনের জন্য এটি পর্যাপ্ত নয় বলছেন ভুক্তভোগীরা।
মাথা গোঁজার ঠাই ও ন্যূনতম থাকার পরিবেশের দাবিতে শুক্রবার প্রতিবাদ জানান বসনিয়ায় আটকে পড়া অভিবাসন প্রত্যাশীরা। গত সপ্তাহে অস্থায়ী আশ্রয়শিবির পুড়ে যাওয়ার পর থেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন বসনিয়ার ক্যাম্প লিপায় আটকে পড়া এসব অভিবাসন প্রত্যাশী। প্রায় এক হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশিও রয়েছে।
ক্যাম্প লিপার এই আশ্রয় শিবির নিয়ে আগে থেকেই উদ্বেগ জানিয়ে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। সবশেষ ব্রাডিনায় তাদের স্থানান্তর করার কথা থাকলেও স্থানীয়দের প্রতিবাদ ও সরকারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মুখে তা ভেস্তে যায়। দুই রাত বাসের মধ্যে অপেক্ষা করেও সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারায় আবারো ফিরে আসেন পোড়া আশ্রয় শিবিরে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর চাপের মুখে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য তাবু স্থাপনের কাজ শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। শুক্রবার তাবু খাটানোর বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে আসেন সেনাসদস্যরা। তবে এই তীব্র ঠান্ডায় এটি পর্যাপ্ত নয় বলছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা।
এক অভিবাসন প্রত্যাশী বলেন, শুধু খাবার আমাদের জন্য যথেষ্ট না। এর বাইরেও আরো অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় থাকে যা এখানে নেই। এখানে কোনো মানবাধিকারই নেই।
অভিবাসন প্রত্যাশী আরেকজন জানান, আমরা না খেয়ে থাকবো সমস্যা নেই, আমরা অভুক্ত থেকে অভ্যস্ত। আমরা প্রয়োজনে পানি খেয়ে বাঁচবো। তবে আমাদের সমস্যা হলো আমাদের এখন কন্টেইনারের প্রয়োজন।
শেষ কয়েকদিন ধরে জঙ্গলে আগুন জ্বালিয়ে কোনোমতে রাত পার করছেন আটকে পড়া অভিবাসন প্রত্যাশীরা। অভিবাসীদের সংকট সমাধানে উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সূত্র : এএফপি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন