বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : বসনিয়ার ব্যাপারে জানতে চাই

প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বসনিয়ার সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক হেকনোভিচ ও তরুণী যোদ্ধা খাওলা বেগোভিচের বন্দী জীবন ও সংগ্রামের সাহসী জীবনালেখ্য ‘আগুনের কারাগার’ বইটি! এটা পড়ে জানতে পারলাম, ১৯৯২ সালে সার্বিয়ার মানবতাবিরোধীরা কী নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়েছিল বসনিয়ার মুসলিমদের ওপর। হাজার হাজার মসজিদ ধ্বংস, শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক ও ধর্মীয় নেতা নির্বিশেষে গণহত্যা এবং অসংখ্য মুসলিম তরুণীকে ধর্ষণসহ এহেন নৃশংসতা নেই যা তারা তখন করেনি। এমনকি বইটিতে উল্লেখ রয়েছে, ধর্ষিতাদের নির্দিষ্ট সময়ে পর্যন্ত বন্দি রাখা হতো, যাতে তারা সার্বদের অবৈধ সন্তানের জন্ম দিতে বাধ্য হয়। এসব কিছুর মূল উদ্দেশ্য ছিল, মুসলিম জাতিসত্তার বিনাশ। ইউরোপের বুকে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্রের জন্ম ঠেকানোর কুমতলবে প্রভাবশালী দেশগুলোও নরপশু সার্বদের এ হামলা, গণহত্যা ও নির্যাতনের সুযোগ করে দেয়। বইতে বর্ণনা করা হয়েছে মুসলিম দেশগুলোর এ বিষয়ে নির্লিপ্ততার কথাও। বইয়ের প্রতিটি লাইন বিবেকবানের শুধু অশ্রু ঝরায় আর মনে করিয়ে দেয় ১৯৭১ এর কথা।
‘আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি’র আনার চাইতে ‘আগুনের কারাগার’-এর খাওলা বেগোভিচের কষ্ট ও যন্ত্রণা অনেক বেশি। মুসলিম বলেই হয়তো তার জীবনালেখ্য ‘আগুনের কারাগার’ বই হিসেবে অপরিচিত। আর আনা মিডিয়ার সুবাদে সুপরিচিত এবং তার ডায়েরি বেস্টসেলার।
বসনিয়ার মুসলিমদের বর্তমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা কী, এ ব্যাপারে যে কোনো গুণীজনের অন্তত একটি লেখা আশা করছি।
আহমাদ জুবায়ের, জাজিরা, শরীয়তপুর।

হাতিরঝিল লেকে ডলফিন
পৃথিবীর অনেক দেশেই জলক্রীড়া কেন্দ্রে ডলফিন চাষ ও প্রদর্শিত হচ্ছে। ব্যাপক বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য সহজলভ্য হয়ে উঠছে এই ডলফিন। এরা দুই প্রজাতির হয়ে থাকে। এক. সাধারণ ডলফিন উবষঢ়যরহঁং উবষঢ়যরং. দুই. উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূল ও ভূমধ্যসাগরের বোতল নাক ডলফিন ঞঁরংরড়ঢ়ং ঞৎঁহপধঃঁং. সাধারণ ডলফিনের গড়ে ২.৪ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৭৫ কেজি ওজন হয়ে থাকে। বাঁচে প্রায় ৫০ বছর।
ডলফিন মানুষের শোনা শব্দের ১০ গুণ কম্পাঙ্ক পর্যন্ত অজ¯্র ধরনের শব্দ উৎপাদন করতে পারে। এরা একটি বিশেষ শিসের সাহায্যে নিজেকে শনাক্ত করে এবং বাচ্চারা খুব দ্রুত মায়ের শিস শনাক্ত করতে শেখে। টিক টিক আর কট কট আওয়াজ ওদের প্রতিধ্বনি নির্ভর শনাক্ত করার ভিত্তি এবং এভাবে ডলফিন আশপাশের বস্তগুলোর আকার, অবস্থা ও প্রকৃতি সম্পর্কে নিখুঁত তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। তারা এভাবে পারস্পরিক তথ্যাদি বিনিময় করতেও পারে। ডলফিন সাধারণত দলবদ্ধভাবে চলে এবং প্রধানত মৎস্যভুক্ত। তারা পিঠের একটি ছিদ্র দিয়ে শ্বাস নেয়। এই স্তন্যপায়ী প্রাণী একবারে একটি বাচ্চা দেয় এবং সন্তানের প্রতি যতœশীল হয়ে থাকে। বুদ্ধিমত্তা, ক্রীড়াদক্ষতা ও বন্ধুসুলভ স্বভাবের জন্য ডলফিন খুবই জনপ্রিয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো, বাংলাদেশে ঢাকার হাতিরঝিল লেকে ডলফিন চাষ ও প্রদর্শনী করলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যেমন আকৃষ্ট করা যাবে, তেমনি বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব। হাতিরঝিল লেকে ডলফিনের বাসোপযোগী একটি জল ক্রীড়া কেন্দ্র স্থাপন করে এটি করা যেতে পারে।
এম এ আওয়াল, চালা, বিটকা, মানিকগঞ্জ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন