মানবিক বিপর্যয় রোধে বসনিয়ার সামরিক বাহিনী শুক্রবার শত শত অভিবাসীর আশ্রয়ের জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করছে। তীব্র শীতে এই অভিবাসীরা পুড়ে যাওয়া শরণার্থী শিবিরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এক সপ্তাহ আগে বসনিয়ার উত্তর-পশ্চিমে ক্রোয়েশিয়া সীমান্তের কাছে আগুনে পুড়ে ছাই হওয়া অপরিচ্ছন্ন লিপা শরণার্থী শিবিরের আশ্রয়হীন এক হাজারের মতো অভিবাসীকে কোনো ব্যবস্থাপনা ছাড়াই ফেলে রাখার জন্য বসনিয়া আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার শিকার হয়েছে। সামরিক বাহিনী জানায়, শুক্রবার ১৫০ সৈন্য অভিবাসীদের আশ্রয়ে তাঁবু খাটানোর জন্য পৌঁছায়। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পরিচালনায় এ কার্যক্রম চালানো হবে। এর আগে শুক্রবার, অভিবাসীরা বসনিয়ার তাদের ভয়াবহ অবস্থা জানিয়ে এক বিক্ষোভ আয়োজন করেন। ত্রাণ সংস্থাগুলো জানায়, শত শত অভিবাসী খাদ্য সহায়তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ব্যানার প্রদর্শনীর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহবান জানিয়েছে। এই সপ্তাহ আগে কর্তৃপক্ষ জানিয়ে ছিল, লিপার অভিবাসীদের মধ্য বসনিয়ায় সাবেক এক সামরিক অবস্থানে স্থানান্তরিত করা হবে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদের মুখে এ পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। অভিবাসীরা স্থানান্তরের জন্য ২৪ ঘণ্টা বাসে অপেক্ষা করলেও শেষে পুড়ে যাওয়া লিপা শিবিরেই তাদের স্থান হয়। প্রথম দুই রাত কর্দমাক্ত শিবিরেই আগুন জ্বালিয়ে তারা শীত তাড়ানোর চেষ্টা করে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের যুদ্ধ ও দারিদ্র্য পেছনে ফেলে পালিয়ে আসা হাজার হাজার লোক বসনিয়ায় জড়ো হচ্ছেন। বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর এই প্রবাহ মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। অভিবাসীরা ম‚লত বসনিয়ার উত্তর-পশ্চিমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তে ভিড় করেন। এই সীমান্ত দিয়ে তারা সম্পদশালী ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রবেশের প্রত্যাশা করেন। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ান সীমান্তরক্ষী বাহিনী বেশিরভাগ অভিবাসীকেই সহিংসতার সাথে সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠিয়ে আসছে। পাশাপাশি বসনিয়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথেও অভিবাসীদের শত্রুতা তৈরি হয়েছে। ডেইলি সাবাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন