রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

জনবল ও যন্ত্রপাতি সঙ্কট সেবা ব্যাহত

তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

শামিম হোসেন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সঙ্কটে স্বাস্থ্যসেবায় দুরবস্থা দেখা দিয়েছে। ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাড়াশ উপজেলাবাসী। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জামাল মিয়া শোভন বলেন, এ সঙ্কট সমাধানে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন এ হাসপাতালে হাজারেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসলেও চিকিৎসক ও কর্মকর্তার কারণে অনেক রোগীদের তারা ঠিকমেতা চিকিৎসা দিতে পারছে না। যার কারণে কাঙ্খিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী ছাড়াও বহির্বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারির পদ শূন্য রয়েছে। যার কারণে ভোগান্তিতে রয়েছে উপজেলাবাসী। এনেসথেসিয়া বিভাগের ১ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, সার্জারি বিভাগের ১ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, মেডিসিন বিভাগের ১ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, গাইনি বিভাগের ১ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট ও ১ জন ডেন্টাল সার্জনের পদ শূন্য। এছাড়াও সিনিয়র স্টাফ নার্স ১ জন, প্রসূতি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স ১ জন, চিকিৎসা সহকারী ১ জন, লেপ্রসী কন্ট্রোল সহকারী ১ জন ও ১২ জন স্বাস্থ্য সহকারীর পদই শূন্য। আর প্রেষণে কর্মরত ৩ জন চিকিৎসা সহকারী ও ১ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট। ১ জন স্বাস্থ্য সহকারী আছেন আইএসটিতে। একই সঙ্গে ১ জন প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক, ২ জন অফিস সহকারী, ১ জন সহকারী সেবক, ৩ জন অফিস সহায়ক, ১ জন মালি, ১ জন কুক/মশালচী, ১ জন নৈশপ্রহরী ও ৪ জন ঝাড়ুদারের পদও শুন্যই রয়ে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল মমিন জানান, ২৮ বছর আগের একটি সরকারি পুরনো গাড়ি দিয়ে চলছে রোগী স্থানান্তরের কাজ। গাড়িটি মাসে ৩-৪ বার নষ্ট হয়। আর দ্রæতগতির না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম বেগ পেতে হয়। নতুন অ্যাম্বুলেন্সটি ২০১৬ সালে হস্তান্তরের ঠিক ৫ দিন পর সামান্য দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এদিকে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পরিচ্ছন্ন কর্মী অর্চনা রানী জানান, পাঁচ জনের কাজ ১ জনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ২ জন দিয়ে তা কোনো রকমভাবে করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা জয়গন বেওয়া, ছাবিহা খাতুন, শিরিন পারভিন, শাকিল হাসান, শাহালম ফকির অভিযোগ করেন, চিকিৎসক কম থাকায় বেশিরভাগ রোগীদের আসা মাত্র শহরে স্থানান্তর করে দেয়া হয়। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষরা শহরের ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
হাসপাতালে কিছু সংখ্যক চিকিৎসক ও সরঞ্জামাদি অতিব জরুরি। ইতোমধ্যে সমাধান চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবগত করা হয়েছে বলে দৈনিক ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জামাল মিয়া শোভন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন