গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সরকারি বিধি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে পরিচালিত মাটি বহনকারি ট্রাক্টর, কাঁকড়া, টলি, পাওয়ার টিলার, করিমন, নছিমন গাড়ির বেপরোয়া চলাচলে কাঁচা-পাকা রাস্তাঘাট সমূহ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কাঁকড়া গাড়িতে করে যত্রতত্র অতিরিক্ত মাটিসহ অন্যান্য মালামাল বহন করার কারণে রাস্তাঘাট বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি হতে অতিরিক্ত মাটি ভর্তি করে রাস্তায় ওঠার সময় হরহামেশাই কেটে ফেলা হচ্ছে রাস্তা। এছাড়া অদক্ষ এবং শিশুচালক ওইসব গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। গত সপ্তাহে এক নারী ও এক কলেজ শিক্ষক মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের ধাক্কায় মারা গেছে। উপজেলার ২৫টি ইটভাটায় কমপক্ষে ৭৫টি গাড়ি রয়েছে। তাছাড়া ৫০টি মালিকানা গাড়ি রয়েছে। সবমিলে দেড়শ’ গাড়ি প্রতিদিন চলাচল করছে। এ সকল গাড়ির বেপরোয়া চলাচলে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে সড়ক। পাশাপাশি সাধারণ যাত্রী এবং ছোটখাট যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের বেলাল মিয়া জানান, ট্রাক্টরের মাধ্যমে মাটি নিয়ে যাওয়া-আসা কারণে সবগুলো কাঁচা রাস্তা কেটে ফেলেছে এবং রাস্তাগুলোও খানাখন্দে ভরপুর হওয়ায় যানবাহন নিয়ে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। গাড়ির চালকরা বেপরোয় গতিতে চলাচল করায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। ধুলাবালিতে পথচারিদের কষ্টের সীমানেই।
রামজীবন ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, মাটি বহনকারী গাড়ির বেপরোয়া চলাচলের কারণে তার ইউনিয়নের বালারছিড়া নামক স্থানে এক পথচারির মৃত্যু হয়েছে। এমনকি ফসলি জমির মাটি গাড়িতে বহন করায় রাস্তাঘাটের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাকিল আহমেদ জানান, প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে এবং গত কয়েকদিনে অবৈধভাবে বালু বহন করার কারণে ৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে ৫০ হাজার করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন