রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

নির্মাণের ১১ বছরেও সেতুতে চলেনি যানবাহন

মো. রনি শেখ, টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ১১ বছর আগে সেতু নির্মাণ হলেও নেই চলাচলের উপযোগী সংযোগ সড়ক। আজ অবধি এ সেতু দিয়ে চলেনি কোন যানবাহন। উপজেলার যশলং হাসপাতাল ও নয়না পাঠানবাড়ি সংযোগ সড়কের বাঘিয়া খালের ওপর সেতুর দু’পাশের সংযোগ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। ঐ এলাকার পথচারীরা জানায়, প্রায় একযুগ আগে খালের ওপরে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতুর গোড়ায় মাটি না থাকায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়নি। এলাকাবাসীর যেন ভোগান্তির শেষ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার যশলং ইউনিয়নের নয়না গ্রামের যশলং হাসপাতাল-নয়না পাঠানবাড়ি সংযোগ সড়কের বাঘিয়া খালের ওপর সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সেতুটির সংযোগ সড়কে মাটি নেই। মূল সেতু হতে সংযোগ সড়কের মাটি না থাকায় ও সেতু দিয়ে কোন যানবাহন যাতায়াত করতে পারছে না। তাই ঐ এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী কোমলমতি শিক্ষার্থী-বৃদ্ধাসহ সকলকেই পায়ে হেটে যাতায়াত করতে হয়।
ওই পথে বাঘিয়া বাজারে নিয়মিত চলাচলকারী বৃদ্ধ জয়নাল আবেদিন জানান, এ সেতু হওয়ার থেকে না হওয়ায়ই ভালো ছিলো, সেতু দিয়ে যদি যানবাহন চলাচল করতে না পারে তাহলে এই সেতু দিয়ে লাভ কি। আগে এখানে কাঠের পুল ছিল সেটা দিয়ে পায়ে হেটে যাওয়া হতো। এখনো পায়ে হেটে চলতে হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরের অর্থায়নে নির্মিত সেতুটি ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়। উপজেলার যশলং, নয়না, বাঘিয়া গ্রামের কয়েক হাজার লোকজন ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। স্থানীয় করিম শেখ (৫৫) জানান, সেতুর গোড়ায় মাটি না থাকায় ভারি জিনিসপত্র নিয়ে আমাদের সেতুর ওপর ওঠতে কষ্ট হয়, তারা আরো জানান, এই এলাকায় কোনলোক অসুস্থ হলে খাটে বা কোলে করে নিতে হয়। প্রশাসন যদি সেতুর সংযোগ সড়ক করে দিত তাহলে হয়তো এলাকাবাসী সেতুটির সুফল পেত।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমি টঙ্গীবাড়ীতে যোগদানের আগে এ সেতুর কাজটি হয়েছে। তবে আমি সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন