ডায়রিয়া রোগের প্রদুর্ভাব দেখা দিয়াছে সুনামগঞ্জে। গত দুই দিনে দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়। জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে একই অবস্থা, আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট, হটাৎ করে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়া, আবহাওয়া জনিত কারণে সুনামগঞ্জে ডায়রিয়া রোগের প্রদুর্ভাব দেখা দিয়াছে। এ কারণে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। ডিসেম্বর মাসে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া শিশু রোগীর সংখ্যা ছিলো ৮১৭ জন এবং প্রাপ্তবয়স্ক রোগী ১৫০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ডায়রিয়া ১৬ নিউমোনিয়া ১৭ জন। বিশ্বম্ভপুর উপজেলার আক্তাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জহুর মিয়া গত শনিবার সকাল ১০টায় হাসপাতালে এসেছেন এক বছর নয় মাসের সন্তানকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করছেন। সন্তানের হঠাৎ করে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বাড়িতে স্যালাইন খায়ানোর পরও কোন কাজে আসেনি, নিরুপায় হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে এসেছেন।
কিন্তু ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সদের কাছ থেকে ওষুধ পেতে লাইনে দাড়াতে হয়। রোগীর সংখ্যার তুলনায় নার্সদের সংখ্যা কম থাকায়। সেবা নিতে আসা রোগীরা পড়ছেন বেকায়দায়। আর সেবা দিতে সেবিকারা খাচ্ছেন হিমশিম।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সন্ধ্যা রায় বলেন, রোগী সংখ্যা বেশি হওয়ায সিরিয়াল ও জরুরি বিবেচনায় সেবা দিচ্ছি আমরা। শীতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়েই, তবে অস্বাভাবিক নয়। নার্স সংখ্যা কম, রোগীর সংখ্যা বেশি, এত রোগীকে সঠিকভাবে সেবা দিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য রোগীদের তুলনায় শিশু ও বয়স্ক রোগী পরিমান শীতে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাতালের দুটি ইউনিটের নার্সসহ সকলেই কাজ করছে। ২২৩ জন নার্সের পদ থাকলেও আছেন ১১০ জন। অর্ধেকেরও বেশি নার্সদের পদ শূন্য। এরপরও ডায়রিয়াসহ সকল রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন