রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সেতু আছে সড়ক নেই

চরম দুর্ভোগে চাটমোহরের ৫ গ্রামবাসী

আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

পাবনার চাটমোহর উপজেলার পারনিমাইচড়া গ্রামে সেতু আছে কিন্তু সড়ক নেই! পারনিমাইচড়া গ্রামে সেতুটির সংযোগ স্থলে রাস্তা না থাকায় ৫টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার। শুধু সেতুর সংযোগ সড়কই নয়, পায়ে হেঁটে চলা কাঁচা রাস্তারও বেহাল অবস্থা। অতিবর্ষণ ও বন্যার পানির প্রবল স্রোতে মাটি সরে গিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। রাস্তাটি দিয়ে কোনো ধরণের যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ হয় কানো অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেবার সময়। গ্রামের কেউ মারা গেলে লাশ দাফন করতে খুব বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। দীর্ঘ দুই বছরেরও অধিক সময় এলাকাবাসীরা দুর্ভোগের শিকার হলেও কোনো ধরণের ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় বাসীন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। চাটমোহর উপজেলা সদর থেকে পারনিমাইচড়া গ্রামের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। নিমাইচড়া বাজার থেকে পূর্ব দিকে করতোয়া নদীর পাড় দিয়ে একটি কাঁচা রাস্তা নেমে গেছে পারনিমাইচড়া গ্রামে। চলনবিল থেকে করতোয়া নদীতে পানি যাওয়ার জন্য ওই এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬৯ টাকা ব্যায়ে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। এলাকার আফজাল হোসেন জানান, সেতু নির্মাণের পর এলাকাবাসী উপকৃত হলেও গত দুই বছরে অতিবর্ষণ ও বন্যার পানির প্রবল স্রোতে সেতুর দুই পাশ থেকে মাটি সরে যায়। এখন সেতুটি দিয়ে যানবাহন যাতায়াত দূরের কথা, পথচারীদের হেঁটে চলাই দুরহ হয়ে পড়েছে। সেতুটি নির্মাণের পর এলাকার মানুষ উপকৃত হয়েছিল। এখন সেতু দিয়ে হেঁটে চলাচল করা যায় না। সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয় যখন কেউ মারা যান। লাশ দাফন করতে নদীতে নৌকায় পার করে নিয়ে যেতে হয় কবরস্থানে। হাসিনুর রহমান নামে অপর আরেক জন বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও বন্যার পানির প্রবল স্রোতে দুই পাশ থেকে মাটি সরে যায়। বিগত দুই বছর ধরে আমরা এলাকাবাসীরা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছি।
এ ব্যপারে নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন বলেন, সত্যিই ওই এলাকার মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি কয়েকদিন আগে পিআইওকে নিয়ে গিয়ে সেতু দেখিয়েছি। প্রকল্প দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈকত ইসলাম বলেন, রাস্তার ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে অতিসত্তর মাটি ফেলে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন