শত বর্ষের ঐতিহ্যে লালিত পৌরসভাটি ১৯৭৯ সালের ২৪ ফ্রেরুয়ারি প্রথম শ্রেণিতে উন্নতি হয়। এ পৌরসভার আয়তন ২২১৭ বর্গ কিলোমিটার। মোট ভোটার ৪৬ হাজার ৯৭৯ জন। ওয়ার্ড ৯টি। পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ২২০ জন। মহিলা ভোটার ২৩ হাজার ৭৫৯ জন। একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় কম পক্ষে ৫০ হাজার ভোটার হওয়ার কথা।
সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মনোয়ার বখতনেকের সময়ে পৌরসভার এলাকা বর্ধিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরবর্তী চেয়ারম্যান দেওয়ান মমিনুল মউজদীনের সময়ে পৌরসভার এলাকা বর্ধিত করা হলে, পৌরসভার নিকটতম কিছু এলাকা বর্ধিত করা হয়নি। তবে দক্ষিণে ইকবালনগর, মল্লিকপুর, ওয়েজখালি পিরোজপুর, জলিলপুর, পশ্চিমে তেঘরিয়া, বড়পাড়া, উত্তরে নবীনগর, পূর্বে মোহাম্মদপুর আবাসিক এলাকা পর্যন্ত পৌরসভার আওতায়ভূক্ত করা হয়।
এরপর প্রায় ২ যুগ সময়ের ব্যবধানে মাইজবাড়ির পূর্ব অংশ ও নবীনগর উত্তর অংশ এবং সেই সাথে গড়ে উঠা নতুন কিছু পাড়া, মহল্লাকেও পৌরসভার আওতাভ‚ক্ত করা হয়নি। এ কারণে পৌরসভার নিকটতম এলাকার মানুষ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও অনান্য সেবাসহ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অপর দিকে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। নির্বাচিত প্রতিনিধির বক্তব্য-বিবৃতি ছাড়া প্রত্যাশা পূরনের মতো কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। জনগনের আশা-প্রত্যাশা পূরনের স্থান এ পৌরসভা।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী কৃষক লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সারাজ উদ্দিন সারাজ বলেন, নিকটতম পৌর এলাকার ঐতিহ্যবাহী গ্রাম মাইজবাড়ি, এ ধরণের নিকটতম গ্রাম, পাড়া, মহল্লাকে, পৌরসভার অন্তরভ‚ক্ত করার দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন বলেন, স্থানীয় জনগনের মতামত নিয়ে স্থানীয় সরকার কাছে আবেদন করলে মন্ত্রণালয় এসেসমেন্ট ও সার্ভে করে এলাকা বর্ধিত করতে পারে। তবে পৌর এলাকা বর্ধিত করার প্রয়োজন আছে বলে আপাতত মনে হয়নি।
জানা যায়, সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ার বখতনেক, মমিনুল মউজদীনসহ আযূব বখত জগলুল, পৌরসভার নিকটতম এলাকা বর্ধিত করার চেষ্টা করছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন