শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

চাঁদপুরে কৃষি ও দারিদ্র্য বিমোচনে ১৯২ কোটি টাকা

প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা

চাঁদপুরে ৮ উপজেলায় চলতি অর্থ বছরে কৃষি ও দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯২ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। জুলাই পর্যন্ত ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে ১শ’ ৪২ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর সোনালী ব্যাংকের ২০ শাখায় কৃষি ও দারিদ্র্য বিমোচনে ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ১৭ শাখায় কৃষি ও দারিদ্র্য বিমোচনে ১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ২৮ শাখায় কৃষি ও দারিদ্র্য বিমোচনে ৯৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা, কর্মসংস্থান ব্যাংকের ৪ শাখায় দারিদ্র্য বিমোচনে ১৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংকে কৃষি ও দারিদ্র্য বিমোচনে ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বেসিক ব্যাংক কৃষি ও দারিদ্র্য বিমোচনে ১ কোটি টাকা ও বিআরডিবিকে ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে জনতা বাংকের এবারের বরাদ্দ চিত্র পাওয়া যায়নি। এদিকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আবদুস সবুর ম-লের সভাপতিত্বে জেলা কৃষি কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় কৃষি ও দারিদ্র্য বিমোচন খাতে সুষ্ঠু ও সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করে কৃষক ও আগ্রহী ঋণগ্রহীতাদের ঋণ প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এছাড়াও দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে পুন: অর্থায়নে ও ৪% রেয়াতি সুদে ডাল, তেল, মশলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা চাষে আগ্রহীদের প্রতি ঋণ বিতরণের হার বাড়ানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। কী কী শর্তে একজন ঋণ গ্রহীতা ব্যাংকের কাছে সহজে কৃষি ঋণ পেতে পারেন এমন প্রশ্নের উত্তরে অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক গীতা মজুমদার জানান, ‘জমি আছে ও নিজে চাষাবাদ করেন তাকেই কৃষি কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংক ঋণ প্রদান করে।’ রবি ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ম ৫ হাজার, সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ও ইরি-বোরো চাষে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে পুরানো ঋণের সুদের টাকা পরিশোধ করলেও বিশেষ বিবেচনায় ওই কৃষককে ঋণ দেয়া হয়। এছাড়াও মৎস্য চাষ, পল্ট্রী খামার, দুগ্ধ উৎপাদন, ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে ব্যাংক আগ্রহীদের ঋণ প্রদানে বদ্ধপরিকর বলে তিনি তার মতামত প্রদান করেন। বর্গাচাষিরাও কৃষি ঋণ পাবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন