ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিখোঁজের ৬ দিন পর কুমার নদী থেকে ঝর্ণা বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। নিহত গহবধূ পৌর সদরের মধ্যপাড়া হাসামদিয়া গ্রামের গেদু মাতুব্বরের স্ত্রী। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী সোহেল নামে এক যুবক ঝর্ণা বেগমের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। ধারের টাকা ফেরত নেয়ার জন্য ঝর্ণা বেগম স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার দেনদরবার করেও ব্যর্থ হন। গত রোববার সোহেল মোবাইল ফোনে ধারের টাকা ফেরত দিতে ঝর্ণা বেগমকে পুখুরিয়া গ্রামে ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে পরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে কুমার নদীতে ফেলে দেয়। গত বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয়রা চুমুরদী ইউনিয়নের চুমুরদী গ্রামের কুমার নদীতে একটি অজ্ঞাত লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রাতেই থানায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে লাশটি ঝর্ণা বেগমের বলে শনাক্ত করেন। ভাঙ্গা থানা এস আই মোজাফফার হেসেন জানান, নিখোঁজ হওয়া ঝর্ণা বেগমের স্বজনরা ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এ ঘটনায় মোবাইল ট্রাকিং-এর মাধ্যমে হত্যাকা-ে সোহেল জড়িত থাকা প্রমাণ পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গতকাল শুক্রবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন