শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে অডিটরসহ ২ শিক্ষক আটক

প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা

বোরহানউদ্দিন উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিসের জুনিয়র অডিটর মোঃ হোসেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ নুরনবী ও ফিরোজকে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে আটক করেন নির্বাহী কর্মকর্তা আ: কুদদুস। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে জন্মাষ্টমীর বন্ধের দিনে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে বসে বাইরের তালা মেরে ওই কাজ করার সময় তালা খুলে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। উপজেলার ৮৫ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছ থেকে টাইম স্কেল, বর্ধিত বেতন নির্ধারণ ও ফিক্সেশন করিয়ে দেয়ার কথা বলে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ: কুদদুস জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ওই ৩ ব্যক্তি টাকা আদায় ও বণ্টনের বিবরণ দিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউএনও’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে তোলপাড় চলছে। আটককৃত ফুলকাচিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ নুরনবী ও ফিরোজ ওই সময় জানান, শিক্ষক জাহাঙ্গীর, নুরনবী, সুবোধবাবু, দারোগা বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানু লাল দে, আজাদ, আলমগীর, মিলননাথ, মজনু এবং তারা মিলে ইউনিয়নভিক্তিক গ্রুপ করে ৮৫টি স্কুলের ৮৫ জন শিক্ষকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এ কাজের প্রধান দায়িত্বে ছিল সদ্য এলপিআরে যাওয়া শিক্ষক অরবিন্দু দে ও নুরনবী। তারা আরও জানান, উত্তোলনকৃত টাকার মধ্যে হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটরকে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে ৪২ হাজার ৫০০ টাকা, শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী সমর চন্দ্রকে জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে ২৫ হাজার ৫শ’ টাকা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী নজরুল ইসলামকে ২০০ টাকা করে ১৭ হাজার টাকা এবং একই অফিসের আজাদকে জনপ্রতি একশ’ টাকা করে ৮ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রদান করেন। তবে অডিটর মোঃ হোসেন জানায়, এ ঘটনা পূর্বের হিসাবরক্ষক অফিসার আবুল কাসেমের সময়ের, আমি সংশ্লিষ্ট নই। সমর চন্দ্রর জানান, শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে আমাদের সব করতে হয়। কোন কিছু বলার স্বাধীনতাও আমাদের নেই। শিক্ষা অফিসার তোফাজ্জল হোসেন জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদদুস জানান, উত্তোলিত অর্থ শিক্ষক নেতা মাহবুবুর রহমান ও মো. তসলিম-এর মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের মাঝে ফেরত দেয়ার মুচলেকায় তাদেরকে ছাড়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন