পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা
ফাস্ট ফুড খাদ্যসামগ্রী হিসেবে বিস্কুট, কেক, পাউরুটিসহ নানা জাতীয় বেকারি খাবার পরিবারের প্রায় সকলেই খেয়ে থাকেন। দিনদিন এর চাহিদাও কম নয়। শিশুদের পছেন্দর খাবার হিসেবেও এসব খাবার তাদের কাছে প্রিয়। এছাড়া বাসাবাড়ীতে আত্মীয়স্বজনদের বেকারি খাবার একটি অন্যতম। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসব খাবারের চাহিদাও ব্যাপক। গ্রাম থেকে শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে হরহামেশাই প্রতিদিন পৌঁছে যায় এসব খাদ্যসামগ্রী। এসবের বেশিরভাগ পণ্যে থাকে লেবেল। ফলে মানুষ নিরাপদ বা স্বাস্থ্যসম্মত মনে করেই এসব খেয়ে থাকেন। কিন্তু এসব তৈরীর ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। যা বাধ্যতামূলক। কিন্তু পঞ্চগড় শহরের উপকণ্ঠে ব্যারিস্টার বাজার সংলগ্ন ‘ঢাকা বেকারি’ নামক একটি কারখানায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এসব পণ্য। যেমন- কেক, পাউরুটি, বিস্কুটসহ নানা বেকারি খাবার। ওই বেকারির অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে মনে হবে এটি একটি মেস বা পরিত্যক্ত বাসা। ওই প্রতিষ্ঠনটির ভিতরে রয়েছে গাছের গুঁড়িসহ পুরনো সব ডালপালা। স্যাঁতসেঁতে মাটিসহ নোংরা পরিবেশ। নামমাত্র একটি ঘরে বড় আকারে চুলা বসিয়ে এসব পণ্য দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা হচ্ছে। ভিতরে দেখা যায়, শ্রমিকরা মাটিতে দাঁড়িয়ে অপরিছন্ন শরীরে এসব পণ্য তৈরিতে ব্যস্ত। একজন শ্রমিক জানান, মালিকের নাম রফিকুল। এ সময় কারখানার ভিতরে একটি ছোট টিনশেড ঘরে এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। তিনি জানান, তার নাম মানিক। কি দায়িত্বে আছেন জানতে চাইলে জানান তিনি ম্যানেজার। পরে তিনি এক সময় দাপট দেখিয়ে বলেন, কোন ছবি তুলবেন না। এক সময় তিনি বলেন, শুনলাম আপনি ছবি তুলেছেন, ছবি তুলে থাকলে তা ঠিক হবে না। পরে তিনি চা খাওয়ার অফার দেন। পরিবেশ এমন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কই সব তো ঠিক আছে। তিনি বিএসটিআইর অনুমোদন আছে বলে দাবি করেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন মানহীন প্রতিষ্ঠানে কিভাবে এসব পণ্য তৈরি হয়, এ প্রশ্ন অনেকের। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসনের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন