বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফের হুমকিতে দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ফেরিঘাট ব্যবস্থা না নিলে ভোগান্তিতে পড়বে ঈদে ঘরমুখো ২১ জেলার মানুষ

প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা

ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে ক্ষ্যাত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দৌলতদিয়ার ৪টি ঘাটের মধ্যে ৩টি আংশিক সচল থাকলেও যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে সচল থাকা ৪ নম্বর ফেরি ঘাটটি। এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ঈদে বিপাকে পড়বে এই রুট দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীরাÑ এমনটাই আশঙ্কা করছেন চালকরা। আর কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদ উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিসির বহরে যোগ হবে আরও কয়েকটি ফেরি। গত মাসের ২৭ ও ২৮ তারিখে দৌলতদিয়া ঘাটের পদ্মার ¯্রােতের কারণে সব ঘাট বন্ধ হয়ে অচলাবস্থা ছিল পুরো এক সপ্তাহ, সে সময় কর্তৃপক্ষ দায়সারাভাবে ৩টি ঘাটের আংশিক মেরামত করলেও চালু করতে পারেনি ১ নম্বর ঘাটটি, যা এখনো বন্ধ রয়েছে। আর ২ নম্বর ঘাটের ১টি পকেট যা দিয়ে ছোট যানবাহন, ৩ নম্বর ঘাটের ২টি পকেট এবং ৪ নম্বর ঘাটের ২টি পকেট সচল করে। এরই মধ্যে মেরামত করা ৪ নম্বর ঘাটের সংযোগ সড়কটি অর্ধেক পুনরায় ধসে গেছে। ঘাটটি যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চালকরা জানান, দৌলতদিয়া ঘাটের এই দুরবস্থার কারণে প্রতিদিন কয়েকশ যানবাহন সিরিয়ালে আটকে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আর এই অবস্থা চলতে থাকলে ঈদুল আজহায় ঢাকাগামী গরুর গাড়িগুলো পড়বে বিপাকে। তাই এখনই ঘাট পুরোপুরি মেরামত করা দরকার। আর ফেরি চালকরা জানান, নদীতে ¯্রােতের কারণে প্রায় দেড়গুণ সময় লাগছে নদী পার হতে। এতে ঘাটের দুই পাড়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ম-ল জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষ এবং ঢাকাগামী মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দৌলতদিয়া সড়কের সাথে চারটি পাকা টয়লেট এবং টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। এতে যানজটে আটকে থাকা মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এলাকাবাসী জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে পদ্মার ¯্রােতের কারণে এখনো ভাঙন অব্যাহত আছে। কর্তৃপক্ষের এখনই উচিত স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে এই রুট দিয়ে চলাচলকারী মানুষ প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে নির্বিঘেœ বাড়ি যেতে পারে। দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ জানান, এই রুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি চলছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে আরও কয়েকটি ফেরি বহরে সংযোগ করা হবে। এতে ভোগান্তি কমবে।
দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত সার্জেন্ট তুহিন লস্কর জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও রাজবাড়ীর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘাটে সাদা পোশাকে ও পোশাকে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে, দালালরা যাতে কোনো মানুষের চলাচলের বাধা না হয় সে ব্যাপারে তারা সচেতন রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন