যশোরে ইমরান হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যকে মারপিট ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে থাকা যশোর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম মাহমুদ হাসান বিপু ১৮ ঘণ্টা পর মুক্ত হয়েছেন। ওই ঘটনায় হেফাজতে নেয়া বাকি ৩ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার রাতে পুলিশ লাইন্সে কর্মরত কনস্টেবল ইমরান সাদা পোশাকে পুরাতন কসবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এক নারীর সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে যান। পুলিশের পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তার ওপর চড়াও হয়ে মারপিট করেন। একপর্যায়ে ইমরানকে শহীদ মিনার থেকে তুলে নিয়ে যান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ইমরানকে উদ্ধার করে এবং মাহমুদ হাসান বিপুসহ ৪ জনকে হেফাজতে নেয়। গতকাল বিকেলে পুলিশ আটককৃতদের মধ্যে মাহমুদ হাসান বিপুকে ছেড়ে দেয়।অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের আটকের সময় আওয়ামী লীগের কয়েক নেতার বাড়িতে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলেছে, ভাংচুরের তথ্য সঠিক নয়।
এদিকে, মাহমুদ হাসান বিপুকে আটকের প্রতিবাদে সকালে বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ হয়। ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত যশোর-চুকনগর মহাসড়কের কেশবপুরে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অভয়নগরে যশোর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়। মুক্তি পেয়ে মাহমুদ হাসান বিপু দলীয় কার্যালয়ে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে হট্টগোল দেখে গিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, বিপুকে জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের আটক দেখানো হয়েছে। পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পরও মারপিট ও অপহরণের ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনভঙ্গের ব্যাপারে কারো কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন