শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ডিসিসিআই সভাপতি-বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:৩৪ পিএম

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান-এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দীকি এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং পাকিস্তান দূতাবাসের কমার্শিয়াল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সুলেমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সংখ্যক উদ্যোক্তা ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ ২০২১’-এর বিটুবি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ডিসিসিআই প্রতিবছরই এ ধরনের আয়োজন করবে। তিনি সার্কভুক্ত আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধিকল্পে উভয় দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের আরো উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, স¤প্রতি পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা প্রাপ্তিতে বিদ্যমান সকল বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক একটি বিষয় ফলে দু’দেশের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স¤প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। রিজওয়ান রাহমান বলেন, ডিসিসিআই বিজনেস ইন্সটিটিউট (ডিবিআই) স্থানীয় বাজার ও উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করে থাকে, যেখানে পাকিস্তানের তরুণ উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় নিয়মাবলী সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন। তিনি বলেন, কৃষি এবং সমুদ্র অর্থনীতি এ দুই খাতে দুদেশের একসাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি উল্লেখ করেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৪৩ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য আরো স¤প্রসারণে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসন এবং দু’দেশের বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

পাকিস্তান দূতাবাসের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দীকি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈশ্বিক সূচকসমূহে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ আশাব্যাঞ্জক। ফলে বৈশি^ক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের সুনাম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পাকিস্তানও বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ স¤প্রসারণে অত্যন্ত আগ্রহী। তিনি বলেন, দু’দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি ‘যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন’ স্থাপন করা হয়েছিল যেটির সর্বশেষ সভা ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের কার্যক্রম পুনরায় সক্রিয়ভাবে চালুকরণের প্রস্তাব করেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে দু’দেশের মধ্যকার সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপন এবং করাচি ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মধ্যে সরাসরি পণ্য পরিবহন কার্যক্রম দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালুকরণের আহ্বান জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার। পাকিস্তানের ফ্যাশন শিল্প বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্প্রসারণে সাংষ্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন