রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

থাইল্যান্ডের সঙ্গে সমুদ্র পথে যোগাযোগ চায় ডিসিসিআই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে থাইল্যান্ডের রেনং সমুদ্র বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর। এ সময় বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে থাইল্যান্ডের রেনং সমুদ্র বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৩৭ দশমিক ছয় মিলিয়ন। যেখানে আমদানি ও রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৮০১ দশমিক তিন ডলার এবং ৩৫ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও ২০২১ সালে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩৯ মিলিয়ন ডলারের উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ বিবেচনায় থাইল্যান্ড ১৫তম অবস্থানের রয়েছে, তবে অবকাঠামো, অটোমোটিভ ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পর্যটন এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রভৃতি খাতে থাই উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে আরও বেশি হারে বিনিয়োগ করতে পারেন। পাশাপাশি থাইল্যান্ডের শ্রমঘন শিল্পসমূহ বাংলাদেশে স্থানান্তরের করার সুযোগ রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের পিটিএ এবং এফটিএ স্বাক্ষরের প্রতিও আরও বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন রিজওয়ান রাহমান। থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার বিদ্যমান বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে দুই পক্ষকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি ভারত-থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের ত্রি-পক্ষীয় আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের থাই দূতাবাস ‘রোড শো’এবং বাণিজ্য মেলা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। থাইল্যান্ডে করোনা সংক্রমণের হার এখন নিম্নমুখী। আশা করছি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই থাই সরকার পর্যায়ক্রমে সেখানকার সকল কার্যক্রম জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন