বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত রংপুরের ৮ জেলা

রংপুর সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৪৬ পিএম

তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রংপুরসহ উত্তরের ৮ জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। অসহনীয় শীতের কারণে গরম কাপড়ের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। কাহিল হয়ে পড়েছেন শিশু-বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ। স্থবির হয়ে পড়েছে নিত্যদিনের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড। শীতের কারণে বেড়ে চলেছে ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে শনিবার রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তি থাকলেও সন্ধ্যার পর পরই তাপমাত্রা নামতে থাকে। সে সাথে বইতে থাকে প্রচন্ড হিমেল হাওয়া।

গত দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি রংপুরের ৮ জেলায়। পশ্চিমা লঘুচাল আর পূবালী বাতাসের সংমিশ্রণে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝরতে থাকায় সন্ধ্যার পরপরই হাট-বাজার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। অব্যাহত ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে ১০ফুট দুরেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। ঠান্ডায় হাত-পা শিষ লেগে যাচ্ছে। মানুষ কোন কাজকর্ম করতে পারছে না। দিনের বেলায়ও সূর্যের দেখা মিলছে দুদিন ধরে। ফলে মানুষ কাঁথা-কম্বল শুকাতে পারছে না। গ্রামাঞ্চলে মানুষ রাতের অধিকাংশটাই আগুনের তাপ নিয়ে শীত নিবারণ করছে। চরাঞ্চলগুলোতে ভয়াবহ অবস্থা চলছে। গরম কাপড়ের অভাবে নদী তীরবর্তী ছিন্নমূল মানুষগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে সহায়-সম্বলহীন হতদরিদ্র লোকজন। শীত বস্ত্রের অভাবে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এছাড়া শীতের কারণে কোল্ড-ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এ অঞ্চলে। এসব রোগে আক্রান্ত বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ।

অন্যদিকে ঠাণ্ডা ও কুয়াশার কারণে সদ্য রোপণ করা বোরো ক্ষেতসহ শীতকালীন সবজি ক্ষেতের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন