বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা কাজী আনিসুর রহমানের অবৈধ সম্পদ প্রায় ১৫ কোটি টাকার। এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত মামলার তদন্তে। যে কোনো দিন তদন্ত প্রতিবেদনটি ‘চার্জশিট’ আকারে আদালতে দাখিল করা হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থার পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব ভট্টাচার্য। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুমোদন দেয় কমিশন।
গতকাল শনিবার দুদক কর্মকর্তা জানান, আনিসুর রহমানের নামে ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে তদন্তে। এ পরিমাণ অর্থ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেন। পরবর্তীতে অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন করেন। গোপনকৃত অর্থ পাচারও করেন।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর র্যাবের অভিযানে ঢাকার বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে ক্যাসিনো কারবারে যুবলীগ নেতাদের সম্পৃক্ততার তথ্য বেরিয়ে আসে। ক্যাসিনোকান্ডসহ নানা অনিয়মে যুবলীগের সামনের সারির কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হন। এ সময় কাজী আনিসের কয়েক বছরের মধ্যে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে এলে গা ঢাকা দেন এ যুবলীগ নেতা। পরে ১১ অক্টোবর তাকে বহিষ্কার করে সংগঠনটি।
একই বছর ২৯ অক্টোবর কাজী আনিস ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক আলাদা মামলা করে দুদক। আনিসের বিরুদ্ধে মামলায় ‘ক্যাসিনো কারবারের মাধ্যমে’ ঘোষিত আয়ের বাইরে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। কথিত আছে, যুবলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ২০০৫ সালে কাজ শুরু করেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর।
সংগঠনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগে ২০১২ সালে উপ-দপ্তর সম্পাদকের পদ পেয়ে যান আনিস। দপ্তর সম্পাদকের পদটি খালি থাকায় ৬ মাসের মধ্যে তাকে ওই পদ দেয়া হয়। পদ-পদবী ব্যবহার করে কাজী আনিসুর রহমান ঢাকায় একাধিক গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমির মালিক বনে যান। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে জানান ওই দুদক কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন