মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের এগারশ্রী এলাকায় নুরানী খালের ওপর নির্মিত লোহার সেতুটি সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পড়ে রয়েছে। যার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের জনগণ। সেতুটির দুইপাশে প্রায় ত্রিশ ফুট করে মাটি না থাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে প্রায় সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পরেছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে পুটাইল ও বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের জনগণ।
জানা যায়, ছয় বছর আগে এলজিএসপি-২ ২০১৫ -২০১৬ অর্থবছরে নুরানী খালের ওপর ২৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১.৫৬২ মিটার প্রস্থ লোহার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির নির্মাণ খরচ হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮শ’ ১৫ টাকা। নির্মাণের ছয় বছর না যেতেই গত বন্যার পানির তোড়ে সেতুটির দুই পাশে প্রায় ৩০ ফুট করে মাটি ধ্বসে যায়। স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. আক্কাছ আলী নিজ উদ্যোগে এলাকাবাসী কাঠ এবং বাঁশ দিয়ে কোনো রকমে জুড়াাতালি দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন। কিন্ত তা বেশীদিন টিকেনি। দীর্ঘ দিনেও সংস্কার না করায় বর্তমানে সেতুটি চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় পুটইল ইউনিয়নের লাল চন্দ্র সরকার জানান, কৈতরা, গাড়াদিয়া, কালিয়াকৈর, বায়ড়া এলাকার সাথে সহজে যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ রক্ষাকারী এই লোহার সেতু। জনগরুত্বপূর্ণ সেতুটির পশ্চিম পাড়ে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী কৈতরার হাট এবং বাজার ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি যাতায়াতের অনুপযোগী থাকায় ব্যবসায়ীদের ভ্যান, ট্রলী নিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে হাট বাজারে আসতে হয়। এলাকাবাসীর যাতায়াতের স্বার্থে সেতুটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আক্কাছ আলী জানান, পুটাইল এবং বেতিলা মিতরা দুইটি ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগের জন্য সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেতুটির উত্তর পাশে একলাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় ইতোমধ্যে গাইড ওয়াল দেয়া হয়েছে। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে সেতুর গুড়া থেকে দূরে হওয়ায় তা কোনো কাজে লাগেনি। গত বন্যায় সেতুটির দুইপাশের মাটি ধ্বসে যাওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে। দ্রুত সংস্কার না করলে সেতুটি পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুটাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল মোল্লা জানান, সেতুটি সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়ছে। দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে বলে আশ^াস দেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন