পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি অন্যান্য পরীক্ষা থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করতে হয়। তাই এটি প্রার্থীদের জন্য বিশাল ব্যাপার। স্বল্প সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার ফল ভালো হয় না। সামনে যেহেতু সময় আর বেশি নেই। এখন আর নতুন করে প্রস্তুতি নেয়ার দরকার নেই। যা আগে অধ্যয়ন করেছেন সেগুলোই বারবার দেখলে পরীক্ষার হলে মনে থাকবে। শেষ প্রস্তুতি হিসেবে নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ, বাংলা সাহিত্য, পদার্থ ইংরেজি, ভূগোল, পৌরনীতি, ইতিহাস বইগুলো পড়তে পারেন। এই বইগুলো থেকে বিগত বছরে প্রশ্ন এসেছে এবং এ বছর আসবে এটাই স্বাভাবিক। প্রার্থীর বেসিক নলেজটা কাজে লাগাতে হবে। মানসিক দক্ষতা বেশি বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে এবং নিজের আত্মবিশ্বাসকে ধরে রেখে পরীক্ষা দিতে হবে। বিসিএস যারা দেবেন তাদের সময় নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া উচিত। এটা আসলে প্রিলিমিনারি। লিখিত এবং ভাইভা তিন পরীক্ষাতেই কাজে লাগাবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা যেহেতু ২০০ নম্বরের এখানে ৮০০টা উত্তর থাকে এখান থেকে ২০০টি সঠিক উত্তর বের করতে হয়। অর্থাৎ ৪টি অপশনের মধ্যে ১টি উত্তর দিতে হয়। একজন প্রার্থী যদি ১টি প্রশ্নের জন্য ১০-১৫ সেকেন্ড সময় নেয় তাহলে সহজেই তার পরীক্ষা ভালো হবে। তবে প্রার্থীদের বিষয় সংক্রান্ত জ্ঞান ও নিজের ওপর আস্থাশক্তি কম থাকায় বেশির ভাগ সময় ভুল উত্তরগুলো বেছে নেয়। যার ফলে তারা কাক্সিক্ষত ফলাফল করতে পারে না। আরেকটি দিক মনে রাখতে হবে। প্রার্থীরা উত্তরপত্রে সবই লিখে কিন্তু অনেক সময় সেট কোড লিখে আসে না। এটা প্রার্থীর জন্য চরম ভুল।
শামসুল আলম
চেয়ারম্যান
এডুকেশন রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ইআরএফ)
বিসিএস প্রিলিমিনারির ধাপটি ভালো করতে পারলে স্বপ্ন পূরণের অনেক কাছাকাছি পৌঁছা যায়। তাই প্রতিটি বিষয়ের প্রতি সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। তবে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো নিজের দুর্বল দিকগুলো খুঁজে বের করতে হবে নিরপেক্ষভাবে। কখনই ভাবা যাবে না যে, ওই বিষয়টি আমি তো পারি অন্যটি পারি না। আপনি নিজেই জানেন আপনার দুর্বল দিক। পরীক্ষায় ভালো করার জন্য বিগত ১০ বছরের প্রশ্নগুলো এবং নিয়মিত নিউজ পেপার দেখতে হবে।
জাকারিয়া রহমান
৩০তম বিসিএস প্রশাসন।
মন্তব্য করুন