ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ হওয়ার বিষয়টি চিরকুটের মাধ্যমে পরিবারকে অবহিত করেছে। পরে পুলিশ ধর্ষক মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের কাফরুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তৌহিদ বিন আজহার (৬৫) আশুলিয়ার চাঁনগাও এলাকার হুরে জান্নাত মহিলা ও নুরে মদিনা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ।
১১বছর বয়সী ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের বরাত দিয়ে আশুলিয়ার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির জানান, চাঁনগাও এলাকার হুরে জান্নাত মহিলা ও নুরে মদিনা মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রীর ছিলো সে। গত কয়েক দিন আগে চা বানানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। এছাড়া বিষয়টি অন্য কাউকে না জানাতে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখায়। তবে ওই ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেও পরছিলো না। পরে তার এক সহপাঠীর মাধ্যমে চিরকুট লিখে পরিবারের কাছে পাঠালে বিষয়টি ফাঁস হয়।
পরে ঘটনার জানাজানি হলে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ রাজধানীর মিরপুরে আত্মগোপন করে।
বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তৌহিদ বিন আজহারকে প্রধান আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। পরে গভীর রাতে রাজধানীর মিরপুরের কাফরুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন