এএফএম ফারুক-চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে
সুনামগঞ্জের ছাতক-মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা-পীরপুর সড়কের একাংশ সুরমার ভাঙনে তলিয়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহ থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে আট গ্রামের হাজার হাজার লোক যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ইতোমধ্যে মুক্তিরগাঁও, শিমুলতলা, হরিশপুর, পীরপুর, গৌরীপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩ শতাধিক বাড়ি-ঘর নদীতে তলিয়ে গেছে। আরো নদী ভাঙনের আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন অসংখ্য পরিবার। এব্যাপারে সরকারসহ প্রশাসনের শীর্ষ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, ছাতক-মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা-পীরপুর সড়কে প্রত্যহ মুক্তিরগাঁও, শিমুলতলা, হরিশপুর, রংপুর, নানশ্রী, পীরপুর, গৌরীপুর ও মিত্রগাঁওসহ কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল ও ইছাকলস ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন যাতায়াত করেন। কিন্তু মুক্তিরগাঁও গ্রামের প্রবেশমুখে সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে সড়কের একাংশ নদীতে দেবে যাওয়ায় গত ২০ আগস্ট থেকে এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে এসব গ্রামের হাজার হাজার লোক যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এব্যাপারে কালারুকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিরগাঁও নিবাসী নজরুল হক, মুক্তিরগাঁও মুল্লাবাড়ির সাবেক মেম্বার সুলাইমান মিয়া, আলতাবুর রহমান-কাঁচা, মনু মিয়া, সফিক মিয়া, আব্দুস সালাম, সাবেক মেম্বার আব্দুল নূরুল হক, আব্দুল মতিন, আরশ আলী, নূরুল ইসলাম, বর্তমান মেম্বার ফজলু মিয়া, আব্দুল মুকিত, ব্যবসায়ী মনোহর আলী, সাজিদুর রহমান, আরব আলী, ভূতু দাস, জওহর লাল দাসসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন জানান, সুরমার ভয়াবহ ভাঙনে সড়কটি দেবে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ এখন বন্ধ হয়ে পড়েছে। এখানে নদী ভাঙন রোধের স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নিলে গ্রামের হাজারো পরিবার অব্যাহত নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটে-বাড়িসহ সর্বস্ব হারাতে পারে। তারা ছাতক-মুক্তিরগাঁও-গোরৗপুর সড়কের মুক্তিরগাঁও প্রবেশমুখে সুরমা নদীতে দেবে যাওয়া রাস্তা দ্রুত সংস্কার ও ভাঙন রোধের স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন, শুধু মুক্তিগাঁও গ্রামের প্রবেশমুখেই নদী ভাঙন নয়। আট গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটে-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। মুক্তিরগাঁও, শিমুলতলা, হরিশপুর, পীরপুর, গৌরীপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩ শতাধিক বাড়ি-ঘর নদীতে তলিয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে আরো অসংখ্য পরিবার। জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী এসব পরিবারের পুনর্বাসনসহ সড়কটি নদী ভাঙন রোধের স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন