রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কেরানীগঞ্জে ওয়াশিং ফ্যাক্টরী পুনরায় চালুসহ ৫দফার দাবীতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ

কেরানীগঞ্জ(ঢাকা)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:১৬ পিএম

কেরানীগঞ্জে ওয়াশিং ফ্যাক্টরী পুনরায় চালুসহ ৫দফা দাবীতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ওয়াশিং ফ্যাক্টরীর মালিক ও শ্রমিকরা। আজ বুধবার সকাল ১১টায় কদমতলী গোলচত্বর এলাকায় এই মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টা ব্যাপী এই মানব বন্ধন কর্মসুচিদে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বন্ধ হওয়া ওয়াশিং ফ্যাক্টরীর হাজার হাজার শ্রমিক ও মালিকরা তাদের ফ্যাক্টরী পুনরায় চালুসহ তাদের ৫দফা দাবী আদায়ের জন্য বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। মানব বন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের কার হয়। ওয়াশিং ফ্যাক্টরীর মালিকগন জানান,জিনজিরা, আগানগর ও শুভাঢ্যা ইউনিয়নে তাদের ৮১টি ওয়াশিং ফ্যাক্টরী রয়েছে। যেখানে ২৫ হাজার শ্রমিক কাজ করে। এছাড়া ১০হাজার স্থানীয় মিনি গার্মেন্টস,লন্ড্রি,কম্পিউটার এম্য়ডারীসহ বিভিন্ন প্রয়জনীয় কারখানায় নিয়োজিত প্রায় ৩ লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান এই ওয়াশিং ফ্যাক্টরীর সাথে জড়িত রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই তিনটি ইউনিয়নের আবাসিক এলাকায় এখন সমস্ত ওয়াশিং ফ্যাক্টরী হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ২৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কেরানীগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরীর পাশে ৫’শ কাঠা জমি তারা ক্রয় করলেও সেখানে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ই,টি,পি প্লান না থাকায় ওয়াশিং ফ্যাক্টরী গুলি স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না। যতদিন পর্যন্ত নতুন জায়গায় গ্যাস, বিদ্যুত ও ই,টি,পি প্লান না হবে ততদিন পর্যন্ত তাদের ফ্যাক্টগুলো আগের জায়গায়ই পুনরায় চালু করার জন্য ফ্যাক্টরীর মালিক ও শ্রমিকরা সরকারের প্রতি জোড় দাবী জানান।মানব বন্ধন কর্মসূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ ওয়াশিং ফ্যাক্টরী মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি কাজী আবু সোহেল কাজল, সাধারন সম্পাদক হাজী সোহেল রেজাক, সহ-সভাপতি হাজী কাশেম, সহ-সম্পাদক আহমদ আলী ও কোষাধক্ষ মো. রুবেল খান প্রমুখ।কেরানীগঞ্জ ওয়াশিং ফ্যাক্টরীর ৫দফাগুলো হচ্ছে,১.বন্ধ ফ্যাক্টরীগুলো পুনরায় চালু করতে হবে।২.নতুন শিল্পজোনে তাদের যেতে হলে সেখানে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুয়্যারেজ লাইন,রাস্তা-ঘাট ও ই,টি,পি সহ সকল সুযোগ সুবিধা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। ৩.তাদের শিল্পে জড়িত ৩লক্ষ২৫হাজার শ্রমিক ও তাদের প্রায় ২০লক্ষ পরিবার পরিজন নিয়ে যেন পথে বসতে না হয় সেজন্য শিল্পজোনে স্থানান্তর হওয়ার আগ পর্যন্ত বর্তমান অবস্থায় তাদের ফ্যাক্টরীগুলো বন্ধ রাখা যাবে না। ৪.ফ্যাক্টরীর মালিকদের সহজ শর্তে ব্যাংক ঋন দিতে হবে। ৫.হটকারী কোন সিদ্ভান্ত গ্রহন করে তাদের বেকার হওয়ার পথ তৈরী করা যাবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন