রোহিঙ্গারা দিন দিন ভাসানচরে যেতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার এবং আজ শুক্রবার আরো সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গা শরনার্থীকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তৃতীয় দফায় ১৬টি বাসে করে আট শতাধিক রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে গতকাল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে এসব বাস যাত্রা শুরু করে। দুইদিনে সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের কথা রয়েছে।
বিষয়টি জানিয়েছেন কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন। তিনি জানান, স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গার তালিকা করা হয়েছে। তাদেরকে আগে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ ও ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখান থেকে প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষে বাসে করে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে তারা সাগর পথে ভাসানচর যাবে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ থেকে ভাসানচরে এটি হবে তৃতীয় দফায় এবং বৃহৎ সংখ্যায় রোহিঙ্গা শরনার্থী স্থানান্তর।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই দলটি গতকাল বৃহস্পতিবার ভাসানচরের উদ্দ্যেশে বাসে করে রওনা দিয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছায়। সোখান থেকে সমুদ্র পথে জাহাজে করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের। শুক্রবার কুতুপালং-১ ইস্ট, ২ ইস্ট, এবং ২ ওয়েস্ট ক্যাম্প থেকে আরও প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর পৃথক একটি দল ভাসানচরে রওনা দেবে।
ক্যাম্পের একজন মাঝি জানিয়েছেন, ভাসানচরে যেতে দিন দিন রোহিঙ্গারা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে স্বেচ্ছায় ক্যাম্প ইনচার্জের নিকট ভাসানচরে যেতে আগ্রহীদের তালিকা যারা জমা দিয়েছিল তারা ভাসানচরে যাচ্ছেন। তৃতীয় দফায় দুইদিনে রোহিঙ্গাদের বিশাল বহর স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তাদের নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন