শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বন্য প্রাণী সংরক্ষণে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কর্মশালায় কক্সবাজার জেলা জজ মোহ ইসমাইল

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২১, ১:০৪ পিএম

বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে কক্সবাজারে সাংবাদিকদের এক কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বন্য প্রাণী ব্যবসা বিশ্ব বাজারে একটি বড় কালোবাজার। বন্য প্রাণী ধরা, খাওয়া, বেচা বিক্রি ও পাচার সংকটে এবং অস্তিত্ব হারাচ্ছে ২শতাধিক বন্য প্রাণী।
এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, ভারসাম্যহীন হচ্ছে পরিবেশ। তাই বন্য প্রাণী শিকার, খাওয়া ও পাচার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

২৯ জানুয়ারী দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় কক্সবাজার শহরের তারাকা হোটেল লংবীচের সম্মেলন কক্ষে। এতে সভাপতিত্ব করেন, চট্টগ্রাম বিভাগের বন সংরক্ষক আব্দুল আওয়াল সরকার। ওয়েসিস বা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটি সাংবাদিকদের এই কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা ও দায়েরা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল।

তিনি বলেন, জীব বৈচিত্র মহান আল্লাহর এক অনন্য সৃষ্টি। কুআনের আয়াতের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মহান আল্লাহ এই বিশ্ব অর্থহীনভাবে সৃষ্টি করেননি।

জীবিকার তাগিদে কিছু মানুষ বন উজাড় করলেও ক্ষমতার ছত্রছায়ায় অনেকেই বন কেটে উজাড় করার প্রমাণ রয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কারণেও অনেক বড় বন এবং পাহাড় উজাড় হয়েছে। এতে করে বন ও বন্যপ্রাণী সংকটাপন্ন হয়েছে।

আমরা বন সংরক্ষণ করতে পারলে
বন্যপ্রাণী রক্ষা করাও সহজ হবে। তিনি আরো বলেন এ ব্যাপারে বন বিভাগ মিডিয়াকর্মী বিচার বিভাগ ও পুলিশসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা জানি চিনে এবং আমেরিকার আমাজনে বন ধ্বংসের কারণে অনেক সমস্যা হয়েছে। ব্রাজিলের লক্ষাধিক মানুষ মারা গেছে।

আল্লাহ পাক কিছু প্রাণী খাওয়া নিষেধ করেছেন এতে অনেক যুক্তি ও উপকার রয়েছে। তিনি এগুলো সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য সংবাদকর্মীদের আহ্বান জানান।

জেলা জজ বলেন, প্রতি বছর সারা বিশ্বে ২০০ কোটি মানুষ পশু পাখির গোস্ত খাওয়া থেকে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। করোনা পরিস্থিতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় পশু পাখির গোস্ত খাওয়া অন্যায়।

তিনি বলেন, ওয়েসিস এর গবেষণায় প্রমানিত বিশ্ববাজারে বন্য প্রাণীর ব্যবসা বিস্তৃত। বিশেষ করে হাঙ্গরও শাপলা পাতা মাছের চাহিদা বেশী রয়েছে।

তিনি বলেন, দেখা গেছে ২০১২-২০১৬ সাল পর্যন্ত এব্যাপারে ২০/ ভাগেরও কম মামলা হয়েছে। যা হয়েছে সেগুলোও ঝুলে আছে। এব্যাপারে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিবাগীয় বন সংরক্ষক সরকার বলেন, ১০৫০টিরও বেশী প্রজাতির বন্য প্রাণী রয়েছে। এর ২ শতাধিক খুবই সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে।
তিনি বলেন ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় প্রথম বন্য প্রাণী আইন হলেও ২০১২ সালে তার সংশোধিত আইন হয়। তিনি বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে মিডিয়া কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে মন্তব্য করেন।

কর্মাশালায় বিশেষ অতিথির বক্তবে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের বলেন, কক্সবাজারে হাতি, সুন্দর বনে বাঘ ও সোনাদিয়ায় পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে সাংবাদিকদেরও ভূমিকা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন