চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, এটা কিসের নির্বাচন, যে নির্বাচনে ৩টা মায়ের খালি হয়েছে। অনিয়ম হয়েছে, এ নির্বাচন মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, শনিবার চৌমুহনী পৌরসভা নির্বাচন, এ নির্বাচন অনিয়ম হলে, প্রশ্নবিদ্ধ হলে এর দায়-দায়িত্ব একরাম চৌধুরীর গৃহপালিত নোয়াখালীর ডিসি, এসপিকে নিতে হবে, তাদেরকে জবাব দিতে হবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট রূপালী চত্বরে আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে সম-সাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ আ.লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, আ.লীগ নেতা ও শিল্পপতি গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগ নেতা আইয়ুব আলী প্রমুখ।
একরাম চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তিনি নোয়াখালীর অপরাজনীতির হোতা। টেন্ডার আর চাকরি বাণিজ্য তার কাজ। আজকে নোয়াখালীতে অস্ত্রবাণিজ্য চলছে, এই অস্ত্র দিয়ে ২৪ জন মায়ের বুক খালি করা হয়েছে। তার লেখাপড়া করা ছেলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। এক দফা, এক দাবি একরাম তুই কবে যাবি। কবিরহাট ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা, সেই এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ঘোষণা দেয় একরাম চৌধুরী। কোন ক্ষমতা বলে সেই চেয়ারম্যান প্রার্থী দেয়? চেয়ারম্যান প্রার্থী দিবে ওবায়দুল কাদের। একরাম চেয়ারম্যানদেরকে টাকার বিনিময়ে প্রার্থীতা দিচ্ছে। এতে ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাকে আমার দলের হাইকামান্ড নির্দেশ দিয়েছেন আগামী রোববার হরতাল প্রত্যাহার করার জন্য। আমি হাইকমান্ডের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। ৩১ জানুয়ারি পূর্ব ঘোষিত রোববার হরতাল ও ২রা ফেব্রæয়ারি মঙ্গলবার ঢাকার সংবাদ সম্মেলন প্রত্যাহার করে নিলাম। হাইকমান্ড আশ্বাস দিয়েছেন নোয়াখালীর অপরাজনীতি তারা দেখবেন। যদি হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত না দেয়, তাহলে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখব।
কাদের মির্জা আরও বলেন, আ.লীগের ত্যাগী নেতার অভাব, আমাদের ক্যাপ্টেন মনসুর আলী কামরুজ্জামান, তাজ উদ্দিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের মত নেতা দরকার।
মির্জা আ.লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভোট আসলে টাকা দিয়ে নমিনেশন নেন, লোকজনের সাথে সম্পর্ক নাই, গরীব দুঃখীদের সাহায্য করেন না, আন্ডু, পান্ডু ও গান্ডুদের ব্যবহার করে টাকা পয়সা দিয়ে ভোটে জিতে যান, এটা হতে পারে না। এদের থেকে নেত্রীকে সাবধান হতে হবে, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা কতদিকে খেয়াল রাখবেন। নেত্রীকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র দেখতে হয়। আমাদের সম্পর্কিত প্রতিবেশি ভারতকে নেত্রী তিস্তার পানির কথা বললে, তারা অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। শেখ হাসিনা গরীব, দুঃখী ও অসহায় ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর করে দিয়েছেন, এটা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে, যাহা সারা পৃথিবীর রোল মডেল।