মাগুরার মহম্মদপুরে ঝামা বাজারের পাশে মধুমতি নদীর বেড়িবাঁধ সম্প্রতি ভেঙে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে এলাকাবাসী। প্রতি বছর মধুমতি নদীতে কম-বেশি ভাঙন দেখা যায়, কিন্তু মহামারীর বছরে বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই মধুমতীতে হঠাৎ করে বেড়িবাঁধ ধসে পড়ে। এতে করে ঝুঁকিতে পড়েছে ঝামা বাজারসহ নদীর আশেপাশের বসতবাড়ি, এছাড়া এখানে ঝামা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝামা মাদরাসা, এতিমখানা, মসজিদসহ নতুন বসতবাড়ি ও প্রচুর ঝুঁকিতে রয়েছে। গত বছর নভেম্বর মাসে প্রথম ভাঙনের লক্ষণ দেখা দিলেও ডিসেম্বর আসতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে মধুমতি পাড়ের ভাঙন।
এলাকাবাসীর দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে নতুন বছরেই বিস্তৃত এলাকা নিয়ে ধসে পড়ে নদীর পাড়। এতে করে সরকার প্রদত্ত বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিস্তৃত অংশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বেড়িবাঁধের একটি অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ৫০ মিটার এলাকার ব্লক স্থানচ্যুত হয়েছে এবং তাতে করে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, বাঁধের মধ্য দিয়ে এবং আশপাশে দেখা দিয়েছে তীব্র ফাটল। এলাকাবাসীর ধারণা যে কোন সময় এই ফাটল থেকে পুরো পাড় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাঁধটা যেহেতু ঝামা বাজারের সাথেই তাই ঝামা বাজারও তীব্র ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বাঁধের সামনে নদীর পশ্চিম পাশে গভীর পুকুর থাকায় শঙ্কাটা একটু বেশি। প্রায় প্রতিবার ঝামা বাজারে পাশে এই অবস্থা বিরাজ করে। ফলে আগে একইভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এলাকাবাসী।
জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বর্ষা মৌসুমে ভাঙান তীব্র আকার ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বিলীন হতে পারে ঝামা বাজারসহ পুরো মহেশপুর ও ঝামার নদীর তীরবর্তী আবাসন। ভাঙান প্রসঙ্গে নদী পাড়ের বাসিন্দা মুহম্মদ শাহীদুল ইসলামের স্ত্রী বলেন, ‘এখনি যদি কিছু করা না যায় তাহলে আমাদের বসতি পুরা-পুরি ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে। নতুন বাড়ি এখনো কাজ শেষ হয়নি তার আগেই যদি এমন হয় তাহলে আমাদের কি অবস্থা হবে। এক মাসের ব্যাবধানে ব্লক বাঁধের অবস্থা ভয়ংকর হয়ে দেখা দিয়েছে এবং একই পরিস্থিতি বিদ্যামান থাকলে ভাঙান রোধ করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্বাবনা রযেছে।’
দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সংশিষ্ট কতৃপক্ষ এলাকাটি পরির্দশন পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এ দাবি এলাকাবাসীর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন