দীর্ঘদিন ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় এবার কৃষক আমনের দাম ভালোই পেয়েছে। সে কারণে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার কৃষকরা উৎসাহ উদ্দীপনায় বোরো আবাদ শুরু করেছে। জমি প্রস্তুত করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষরা। জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ উঠানো, ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা। এ দিকে শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বোরোর জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মীরসরাইয়ের আবহাওয়া বোরো আবাদের জন্য এখন পুরোপুরি অনুকূলে। চলতি বছর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ১ হাজার ১শ’ ৬০ হেক্টর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ইতোমধ্যে ১শ’ হেক্টর বীজ তলা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতি এক হেক্টর বীজ তলায় আবাদ হবে ১৬ হেক্টর জমি। হিসাবমতে ১শ’ হেক্টর বীজ তলায় ১৬শ’ হেক্টর জমি আবাদ হবে। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫শ’ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এ বছর উফশী জাতের বোরো ধান চাষ হচ্ছে। এরমধ্যে ব্রিধান ২৮, ব্রিধান ২৯, ব্রিধান ৮৮, ব্রিধান ৮৯। এ ছাড়াও জমিতে চাষ হওয়া হাইব্রিড জাতের ধানের মধ্যে রয়েছে অ্যারাইজ তেজগোল্ড, এসএলএইটএইচ। প্রান্তিক চাষিদের প্রণোদনাও দেয়া হয়েছে। এসব কারণে এবার বোরোর আবাদ রেকর্ড ছাড়াবে।
৮নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের পালগ্রামের কৃষক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, মাঠে বোরো আবাদ শুরু হয়ে গেছে। শীতের প্রকোশ ও কুয়াশা বেশি হলেও বীজতলার কোনো ক্ষতি হয়নি। গত বছর ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছিলাম। এ বছর ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। ধানের ভালো দাম পেয়ে এবার আগ্রহ বেড়েছে।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কাজী নুরুল আলম জানান, মীরসরাই উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো আবাদ বেড়েছে। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫শ’ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে বেশি। তিনি আরো জানান, বোরো বীজের কোনো সঙ্কট না থাকায় এ বছর এই উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ করা সম্ভব হবে। বোরো চারা রোপণ করাসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে কৃষকদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন