দেশের বাজারে চালের দামের অস্থিরতা কাটাতে ভারত থেকে চাল আমদানি হলেও বাজারে চালের দাম কমছে না। হঠাৎ করে গত তিন দিনের ব্যবধানে হিলি খুচরা বাজারে আমদানিকৃত প্রতি কেজি চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আর এতে করে চাল কিনতে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতা ও পাইকাররা।
হিলির খুচরা বাজারে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানিকৃত সকল প্রকার চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। রত্না জাতের চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৬। ৫০ টাকার মিনিকেট চাল কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়াও দাম বেড়েছে স্বর্ণা ও গুটি স্বর্ণা চালের। চাল কিনতে আসা পাইকারী ক্রেতা আমজাদ হোসেন জানান, চাল আমদানির কথা শুরুর সময় চালের দাম কমেছিল। এখন আবার তা বাড়ছে। দাম বাড়ায় আমাদের চাল কিনতে এসে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বাজারের চাল বিক্রেতা স্বপন জানান, আমদানি শুরুর প্রথমদিকে বাজারে চালের দাম কিছুটা কম ছিল। গত দুই-তিন দিন থেকে চালের দাম প্রকারভেদে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। আমরা স্থলবন্দরের আমদানিকারকের কাছ থেকে বেশি দামে কিনছি। তাই বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক অভিনাশ দাস জানান, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেবার পর একসাথে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান আমদানি শুরু করায় ভারতে চাহিদা বাড়ায় চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে ট্রাকের ভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণ। যার প্রভাব আমদানিকৃত চালের দামের ওপর পড়ছে।
হিলি পানামা পোর্ট লিঙ্কের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, চালের আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে চালের সরবরাহ ঠিক রাখতে ও আমদানিকৃত চাল দ্রুত ছাড়করণ ও বাজারজাত করতে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চাল আমদানির ১৮ কর্ম দিবসে ভারতীয় ৪শ’ ৬টি ট্রাকে ১৬ হাজার ৪শ’ ১৬ মেট্রিক টন চাল আমদানি হলেও বন্দর থেকে চাল খালাস হয়েছে ১৪ হাজার ৭শ’ ৬ মেট্রিক টন চাল। যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন