সিরাজগঞ্জের তাড়াশ কেন্দ্রীয় ইদগাহ্ মাঠে নিয়মিত বসছে কাঁচাবাজার। তাড়াশ পৌর শহরের একমাত্র ঈদগাহ মাঠটিতে প্রতিদিন কাঁচাবাজার বসার ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মুসুল্লীদের। এটি ঈদগাহ মাঠ হলেও দেখে মনে হবে যেন কাঁচাবাজারের আড়ৎ। মাঠটিতে শুধু ঈদের জামাতের জন্য নয়। বরং পৌর শহরে বসবাসকারী মৃতদের জানাজার নামাজের একমাত্র স্থানও। এ ছাড়াও জাতীয় সব ধরনের উন্মুক্ত অনুষ্ঠান এখানেই উদযাপিত হয়ে থাকে।
ঈদগাহ্ মাঠ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, মাঠটি মূলত হ্যালিপ্যাড মাঠ হলেও স্থানীয়দের প্রচেষ্ঠায় প্রায় তিন দশক পূর্বে তাড়াশ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ মাঠ হিসেবে পরিচিত। নিয়মিত এখানেই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজের জামাত ও মৃত ব্যক্তির জানাজার নামাজ আদায় করেন মুসুল্লিরা।
জানা যায়, বিগত ২০১৭ সালের ৩১ডিসেম্বর তাড়াশ পৌরসভার গেজেট প্রকাশিত হয়। তাড়াশ উপজেলা সদর এলাকা পৌরসভার নির্দিষ্ট কোনো হাট না থাকায় পৌর এলাকায় বসবাসকারী ও আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের ক্রয়-বিক্রয়ের একমাত্র ভরসা তাড়াশ পৌর বাজার। যার ফলে বাজারটির গুরুত্ব অনেক বেশি। পৌর বাজারে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক হাজার লোকের সমাগম হয়। তাড়াশ উপজেলার সদরের আশেপাশের প্রায় দশ পনেরটি গ্রামের ক্রয়-বিক্রয়ের একমাত্র বাজার পৌর শহরের তাড়াশ বাজার। অথচ পৌরসভার নির্দিষ্ট কোনো হাট না বসানোর ফলে তাড়াশ বাজারেই ক্রেতা-বিক্রেতারা তাদের কেনা কাটার সকল চাহিদা পূরুন করেন। দোকানিরা প্রতিদিন দিন শেষে কাঁচা মালের পচা-উচ্ছিষ্ঠ অংশ ঈদগাহ মাঠে জমা করার ফলে দুর্গন্ধে জানাজা নামাজে আগত মুসুল্লিদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
তাড়াশ গ্রামের নাম মো. শামিম হোসেন খন্দকার এ প্রতিবেদককে জানান, ঈদগাহ মাঠে কাচা বাজার বসানোর কারণে মাঠের চারদিকে ময়লার স্তপ জমে গেছে। পচা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে ওই এলাকার পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে মৃত ব্যক্তির জানাজায় আগত মুসুল্লিদের কষ্টের সীমা থাকে না।
এ বিষয়ে তাড়াশ বাজার কমিটির সভাপতি গাজী এস এম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে জায়গা সঙ্কটের কারণে অস্থায়ীভাবে ঈদগাহ মাঠে কাচা বাজার বসানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন