করোনা প্রভাবে উদ্ভুত পরিস্থিতি পুনর্গঠনে উপজেলার প্রাণিসম্পদ, কৃষি ও মৎস্য খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গজারিয়া উপজেলায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ঋণ প্রনোদনা বিতরণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর পুনঃঅর্থায়ন স্কীম হতে এ ঋণ প্রণোদনা বিতরণ করেন। গজারিয়া শাখা হতে ২ কোটি ৭ লাখ এবং ভবেরচর শাখা হতে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। গত ১ এপ্রিল হতে ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত এ ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলে। বার্ষিক শতকরা ৪ টাকা হারে ব্যাংক খামারিদের হতে সুদ আদায় করবে। ১৮ মাসের মধ্যে খামারিরা সুদ-আসল পরিশোধ করবে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ১৫৯ জন ব্যক্তিকে এ ঋণ প্রদান করা হয়। তার মধ্যে ডেইরির ১৪৪টি, পোল্ট্রির ৮টি, মৎস্য ও কৃষির ৭টি রয়েছে। ডেইরি ও পোল্ট্রির মধ্যে ৪ কোটি ১৮ লাখ ৫ হাজার ঋণ প্রদান করা হয়।
গজারিয়া শাখার ব্যবস্থাপক সিরাজুল মামুন বলেন, করোনাকালীন সময়ে যেসব খামারি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাদের খামার পরিচালনার জন্য অর্থাৎ পশুর খাবার, চিকিৎসা ও ওষধ বাবদ এ ঋণ দেয়া হয়। প্রতি ২টি গরুর জন্য ১ লাখ বেশি গরুর হলে ৫ লাখ, ১০ লাখ ও ২০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। এ ঋণ গ্রহণে খামারিরা অনেক উপকৃত হবে। আর বরাদ্ধকৃত ঋণ আদায়ে কোন রকম প্রতিক‚লতা সৃষ্টি হবে না। ল²ীপুর গ্রামের মেসার্স শাহানারা এগ্রোফার্মের মালিক মো. কামরুজ্জামান বলেন, এ ঋণ আমার ফার্ম চালানোর জন্য খুব উপকারে আসছে।
ঋণ গ্রহণকারী পোল্ট্রি ফার্মের মালিক বিশ্বজিৎ গোস্বামী বলেন, আমি ৮ বছর আগে ফার্ম তৈরি করি। করোনায় আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমার ফার্মে বর্তমানে ৪টি শেডে ৫ হাজার ৮শ’ লেয়ার রয়েছে। ৩ হাজার মুরগী ডিম পারছে। বাকিগুলোতে মাসেক খানি সময় লাগবে।
ঋণ পাওয়াতে আমার ফার্ম চালানো সহজ হচ্ছে। খামারিদের সূত্র জানা যায় যে, উপজেলায় ৭৯টি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। ঋণ পেয়েছে৮টি খামার। মধ্য ভাটেরচর গ্রামের মিজান জানান, ব্যাংক ব্যাপক পরিসরে ঋণ বিতরণ করলেও আমরা পাই নাই। এ ব্যাপারে ভবেরচর কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শাহীন রানা বলেন, আমরা যাচাই-বাচাই করে মর্গেজ রেখে ঋণ দিয়েছি। যারা শর্ত পূরণ করেছে তারা ঋণ পেয়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, খামারিদের জন্য এটি সরকারের বিশেষ সহযোগিতা। এটা একটি যুগোপযোগী ব্যবস্থা। এতে খামারিরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন