মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দেশরটির রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিয়ে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন খ্রিস্টান রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস। স্থানীয় সময় সোমবার ভ্যাটিকানে দায়িত্বরত কূটনীতিকদের প্রতি দেয়া বার্ষিক ভাষণে এই আহ্বান জানান তিনি।
রয়টার্সের খবরে জানা যায়, সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে দেওয়া বক্তব্যে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, তিনি ২০১৭ সালে মিয়ানমার সফর করেছেন। গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেশটির পরিস্থিতি তিনি পর্যবেক্ষণ করছেন।
মিয়ানমারে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে পোপ দেশটিতে সামরিক শাসন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। এর আগে, ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, তাতমাদাও দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
১৮০-এর বেশি দেশের কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে মিয়ানমারের জনসাধারণের প্রতি তার প্রীতি ও ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানান। ২০১৭ সালে পোপ দেশটিতে সফর করেন।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চলা গণতন্ত্রের পথে গত সপ্তাহের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অশোভনভাবে বাধা তৈরি করা হয়েছে।’
পোপ বলেন, ‘অত্যন্ত নাজুক এই পরিস্থিতিতে আমি মিয়ানমারের জনগণের প্রতি আমার একাত্মতা জানাই। আমি তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রার্থনা করি, যাঁরা দেশের দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন, তাঁরা সামাজিক কল্যাণ, ন্যায়বিচার ও জাতীয় স্থিতিশীলতা রক্ষায় গণতান্ত্রিক সম্প্রীতি বজায় রাখবেন।’ সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন