সকল প্রোটোকল ভেঙে শুক্রবার তিনি রাশিয়ান দূতাবাসে গিয়েছিলেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে যুদ্ধ সম্পর্কে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। আগেই অবশ্য ভ্যাটিক্যানের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল। তারপরই পোপ রাশিয়ান দূতাবাসে গিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন।
তবে পোপ ফ্রান্সিসের এই পদক্ষেপ নজিরবিহীন। কারণ সাধারণত পোপোরা ভ্যাটিকানে রাষ্ট্রদূত ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে দেখা করেন। কূটনৈতিক প্রটোকল অনুযায়ী ভ্যাটিকানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূততের ডেকে পাঠাতে পারেন। কিন্তু ফ্রান্সিস ভ্যাটিকানের নেই নিয়ম ভেঙে শহর ছেড়ে রুশ দূতাবাসে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখানেই গিয়ে রাশিয়ার ইউক্রেন হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ভ্যাটিকানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফ্রান্সিসের আগে এমন কোনও কাজ পূর্ববর্তী কোনও পোপ করেছেন কিনা তাদের জানা নেই। ভ্যাটিকানের মুখপাত্র মাত্তেও ব্রুনি এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হলি সি -র একটি প্রেস অফিসও বলেছে পোপ রাশিয়ান দূতাবাসে গিয়েছিলেন।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, রাশিয়ান দূতাবাসে গিয়ে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন তার উদ্বেগের কথা। সেখানে তিনি প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলেন। কথা বলেছেন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তিনি যুদ্ধের শেষ করার জন্য আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন আগামী বুধবার ইউক্রেনের শান্তির জন্য তিনি উপবাস করবেন। একই সঙ্গে তিনি প্রার্থনা করবেন যুদ্ধ আক্রান্তদের জন্য।
তবে পোপ ফ্রান্সিস প্রকাশ্যে রাশিয়াকে ডেকে যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে এখনও চাইছেন না। একটি অংশ মনে করছে, রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের বিরোধিতার ভয়ে তিনি কিছুটা বলেও চুপ রয়েছে। ভ্যাটিকান থেকে পোপ ফ্রান্সিস জানিয়েছেন আগামী রোববার সপ্তাহে তিনি নির্ধারিত ফ্লোরেন্স সফর বাতিল করেছেন। তীব্র হাঁটুর ব্যার্থার কারণেই এই সফর বাতিল করেছেন বলেও জানিয়েছেন।
ভূমধ্যসাগরীয় বিশপ ও মেয়েদের একটি সভায় সভাপতিত্ব করার কথা ছিল তারা। আগামী বুধবার সেই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাও তিনি বাতিল করেছেন শারীরিক অসুস্থতার জন্য। কিন্তু সেই দিনই তিনি ইউক্রেনের জন্য প্রার্থনা আর উপবাস করবেন বলেও জানিয়েছেন। ৮৫ বছরের পোপ দীর্ঘ দিন ধরেই সায়াটিকা স্নায়ু রোগে ভুগছেন। যেকারণে প্রায়ই তার হাঁটুতে ব্যাথা হয়। ডান হাঁটুতে লিগামেন্টে সমস্যা হয় তার। কয়েক সপ্তাহ ধরেই তিনি অসুস্থ রয়েছেন। সূত্র: এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন