বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

রেকর্ড গড়েই জিততে হবে বাংলাদেশকে

বাংলাদেশ-উইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্ট

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:৫৭ পিএম

 

উইন্ডিজের ৬ উইকেট নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। উইন্ডিজের রান তখন ৬ উইকেটে ৯৮। সেখান থেকে ফিরে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আর মাত্র ১৯ যোগ করেই ক্যারিবিয়ান দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছে ১১৭ রানে। তবুও ঢাকা টেস্ট জিতে সিরিজ সমতায় শেষ করতে বাংলাদেশের করতে হবে রেকর্ড।

তাইজুল নিয়েছেন চার উইকেট, নাঈমের শিকার ৩টি, দুটি আবু জায়েদ রাহি ও অপরটি মেহেদী হাসান মিরাজের।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড আড়াইশ রানের মধ্যে আটকে রাখার কথা জানিয়েছিলেন মেহেদি মিরাজ। ক্যারিবীয়দের লিড দাঁড়িয়েছে ২৩০ রানের, ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৩১ রান।

এই ম্যাচ জিততে এখন নিজেদের আগের রেকর্ড ভাঙতে হবে বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড মাত্র ১০১ রানের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

তবে সবমিলিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ২০০৯ সালে তাদের মাটিতে ২১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ।

এই রেকর্ড গড়তে বাংলাদেশ দল অনুপ্রেরণা পেতে পারে সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকেই। কেননা বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। এই তো গত টেস্টে বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ৩৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতার অবিস্মরনীয় কীর্তি গড়েছে তারা।

তবে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবার এত রান তাড়া করে জেতার নজির নেই একটিও। ২০১০ সালে বাংলাদেশের দেয়া ২০৯ রানের লক্ষ্য ১ উইকেট হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। হোম অব ক্রিকেটে এটিই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড।

এছাড়া মিরপুরে দুইশর বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড রয়েছে আর একটি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ২০৫ রান করে ৫ উইকেটে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ দল এই ম্যাচ জিতলে মিরপুরের মাটিতে দুইশর বেশি রান তাড়া করে জেতার মাত্র তৃতীয় নজির হবে।

উইন্ডিজের ৬ উইকেট নিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ

বল হাতে নিয়ে দিনের শুরুটা করেছিলেন আবু জায়েদ রাহী আর স্পিনার তাইজুল ইসলাম। শুরুতেই পরপর দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে দারুণভাবে খেলায় ফিরিয়ে এনেছিলেন পেসার রাহী। কিন্তু অন্যপাশে তাইজুল ইসলাম মোটেই সুবিধা করতে পারছিলেন না।

অবশেষে রোববার চতুর্থ দিনে নিজের করা ৭ম ওভারে দারুণ এক সাফল্যের দেখা পেয়ে গেলেন তাইজুল ইসলাম। এর মধ্যে তার যেমন নিজের কৃতিত্ব ছিল, তেমনি এই কৃতিত্বে দারুণ সহযোগিতা ছিল উইকেটরক্ষক লিটন দাসের। তার ক্ষিপ্রতার কাছেই মূলতঃ হেরে যান জার্মেইন ব্ল্যাকউড এবং উইকেট জমা হলো তাইজুলের অ্যাকাউন্টে।

ইনিংসের ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি খেলতে গিয়ে মিস করেন ব্ল্যাকউইড। চোখের পলকে বল ধরেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন লিটন। আউটের আবেদন করতেই নন-স্ট্রাইক আম্পায়ার টিভি আম্পারকে কল করেন। রিপ্লেটে দেখা গেলো পরিস্কার স্ট্যাম্পিং হয়ে গেলেন ব্ল্যাকউড। ৯ রান করে ফিরে যান তিনি।

লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় ৪৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৯৮ রান। তাদের লিড এখন ২১১ রানের। ৩০ রান নিয়ে এনক্রুমা বোনার এবং ২০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন জশুয়া ডা সিলভা।

দিনের শুরুটা ঠিক যেমন চেয়েছিল বাংলাদেশ, তেমনটাই এনে দিয়েছিলেন দলের একমাত্র পেসার আবু জায়েদ রাহী। চতুর্থ দিনের এক ঘণ্টা হওয়ার আগেই রাহীর হাত ধরে জোড়া সাফল্য পেল বাংলাদেশ। দলীয় সংগ্রহটা ৬০ পেরুতেই নিজেদের অর্ধেক উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

প্রথম ইনিংসে পাওয়া ১১৩ রানের লিড ম্যাচে বেশ এগিয়েই রেখেছিল ক্যারিবীয়দের। তবে কামব্যাকের আশা জাগিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের লিডটা আড়াইশর মধ্যে রাখার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করছে টাইগাররা।

আগেরদিন ৩ উইকেট তুলে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ভালো শুরু করেছিল বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে চতুর্থ দিন সকালেও। আজ (রোববার) দিনের পঞ্চম ওভারেই প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা জোমেল ওয়ারিকানকে সাজঘরে পাঠিয়ে দিনের শুরুটা ইতিবাচকভাবেই করে স্বাগতিকরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন