পঞ্চগড়ে জোনাল অফিস নিয়ে ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। একটি পৃথক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হওয়ার জন্য গ্রাহক সংখ্যাসহ অন্যান্য যে ধরনের যোগ্যতা প্রয়োজন তার সব কিছুই পঞ্চগড় জোনাল অফিস অতিক্রম করেছে। দীর্ঘ দিনেও পঞ্চগড়ে পৃথক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠন না হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া, ট্রান্সমিটার ক্রয়, বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্রয়সহ নানা কাজে গ্রাহকদের যেতে হচ্ছে পাশের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে। যে কোন ধরনের কাজে দিনের পর দিন ঠাকুরগাঁওয়ে ঘোরাঘুরি করে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পঞ্চগড় জোনাল অফিসে ২ লক্ষাধিক গ্রাহক সংখ্যা হলেও পৃথক কোন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠন করা হয়নি। গ্রাহকদের ছোট খাট কাজেও যেতে হচ্ছে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অফিসে। এতে গ্রাহক ভোগান্তি বাড়ছে তেমনি কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ এর সঞ্চালন লাইনের পরিধি দাঁড়িয়েছে। ফলে তা মেরামত করতে হলে পঞ্চগড় জোনাল অফিসকে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানাতে হয়। সেখান থেকে অনুমোদন হলে তারা ঠিকাদারের লোকজন পাঠিয়ে ত্রæটি মেরামত করেন। এতে যেমন ৩-৪ দিন লেগে যায় এবং গ্রাহকদেরও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হয়।
পঞ্চগড়ের ৫টি উপজেলা আর ৩টি পৌরসভার ১০৩৪ গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে ২ লাখ ৪ হাজার ২শ’ জন। এর মধ্যে আবাসিক সংযোগ ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৫ টি, বাণিজ্যিক সংযোগ ১০ হাজার ৮৩৬ টি, সেচপাম্প সংযোগ ৫ হাজার ৫০৭ টি, শিল্প সংযোগ ১ হাজার ৭৪ টি এবং অন্যান্য সংযোগ ৩ হাজার ৬৮টি। এত বড় পরিধির এই বিদ্যুৎ লাইন পরিচালনার জন্য যে লোকবল প্রয়োজন জোনাল অফিস হওয়ার কারণে সে পরিমাণ লোকবল এখানে নেই। জেলার সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি তবে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় পঞ্চগড় জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মেহেদী হাসান এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার অফিস থেকে কোন গ্রাহক কোন ধরনের ভোগান্তি, হয়রানি কিংবা নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না।
পঞ্চগড়-০২ আসনের সাংসদ রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, পঞ্চগড়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠনের সকল যোগ্যতা অতিক্রম করেছে পঞ্চগড় জেলা। জেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সহজে বিদ্যুৎ প্রাপ্তি এবং হয়রানি মুক্ত ও সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে পঞ্চগড়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠন করা প্রয়োজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন