পরনে কোর্টপ্যান্ট, দেখতে যে কোন বড় অফিসার অথবা ওষুধ কোম্পানী মার্কেটিং অফিসার কিংবা এরিয়া ম্যানেজারের মত মনে হয়। এ বেশভুষা নিয়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ওষুধের দোকান ও কসমেটিকস্ দোকানে ঢুকে কোটোর (ব্লেজারের)ভিতরে দামি মালামাল নিয়ে সটকে পড়েন। এভাবে দীর্ঘদিন অভিনব কৌশলে চুরির পর অবশেষে ধরা খেল সে। পাশ্ববর্তী রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সবুজগ্রাম এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আবি আব্দুল্ল্যাহ (৪০)।সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজোর করইতলা কাজী মেডিকেল হলে ঢুকে মোবাইলে কথা বলার নাম করে তাদের দোকানের পিছনে গিয়ে দামি কিছু ওষুধ কোটের ভিতরে ঢুকিয়ে বাহির হওয়ার চেষ্টা করেন। মালিকের ছোটভাই আঁচ করতে পেরে তাকে আটক করে স্থানীয় আরো ওষুধ ব্যবসায়িদের খবর দেন। পরে সবাই এসে তার শরীর তল্লাসী করলে বেরিয়ে আসে তার নতুন রুপ। এভাবে উপজেলার বিভিন্ন বাজারের অভিনব পদ্ধতিতে দীর্ঘদিন থেকে চুরি করে আসছে বলে স্বীকার করে সে। তার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। পরে বাজার ব্যবসায়ীরা বিষয়টি কমলনগর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে ওই চোরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে কাজী মেডিকেল হলের মালিক কাজী মোহাম্মদ ইউনুছ বাদি হয়ে একটি মামলা করলে ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কাজী মেডিকেল হলের মালিক কাজী মোহাম্মদ ইউনুছ জানান, দীর্ঘদিন থেকে সে তার ফার্মেসীতে ঢুকে দামি ওষুধগুলো চুরি করে আসছিল। কিছু দিন থেকে আমরা দোকানের ওষুধের কোন মিল না পেয়ে সন্দেহ হয়। ঘটনার সময় ওই চোর তাদের দোকানে ঢুকে মোবাইলে কথা বলার নাম করে পিছনে যায় এবং কৌশলে তাদের দোকানের কয়েক বক্স দামি ওষুধ তার কোর্টর ভিতরে ঢুকান। বিষয়টি টের পেয়ে তার ভাই আশপাশের ব্যবসায়িদের খবর দেন। পরে ব্যবসায়িরা এসে তার শরীর তল্লাসী করে ওষুধগুলো বের করা হয়। এ চোরটি করইতলা বাজারের বিভিন্ন ফার্মেসীতে প্রতিনিয়ত এভাবে ঢুকে বসে থাকতো বলে অনেকে জানান।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন