সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে পরিবহন শ্রমিক ও সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে গত বুধবার সংঘটিত সংঘর্ষে ভাঙচুর করা হয় অর্ধশত গাড়ি। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায়ই সোমবার থেকে সিলেট জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন সিলেট জেলা বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (১৪১৮) নেতৃবৃন্দ।
তবে এ বিষয়ে রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সভাপতি ময়নুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘোষিত কর্মসূচি থেকে সরে আসিনি আমরা। রোববার রাত ৮টায় সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সিসিক মেয়র-কাউন্সিলর ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক রয়েছে। এই বৈঠকে যদি আমাদের দাবি মানা হয় তবেই আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিবো। অন্যথায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে ধর্মঘট পালন করবো। ভোর ৬টা থেকেই রাস্তায় থাকবো আমরা। অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ নিয়ে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। এতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর-পুলিশ ও পরিবহন শ্রমিকসহ অন্তত : ১৫ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় প্রায় অর্ধশত গাড়ি। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ফয়সল আহমদ ফাহাদকে (৩৮)-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদি হয়ে ২টি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী বাদি হয়ে আরও ১টি মামলা করেন। ৩ মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩২৮ জনকে। এর মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি ২৮ জন।
তবে এ ঘোষণা নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তেমন উদ্বিগ্ন নন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। ঘটনার পরদিন (বৃহস্পতিবার) চৌহাট্টায় উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের (পরিবহন শ্রমিকদের) সঙ্গে আর আলোচনার কিছু নেই। সিলেট শহর আপনার-আমার সকলের। এর উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করা উচিত। অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেধকে কেন্দ্র করে যদি তারা ধর্মঘটের ডাক দেন তবে সেটি হবে সম্পূর্ণ অনুচিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন