শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রামগতি পল্লী বিদ্যুতের ইলেক্ট্রিশিয়ান-ডিজিএম দ্বন্দ্ব চরমে

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:৪৬ পিএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএমের সাথে ইলেক্ট্রিশিয়ানদের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে।অফিসের গোপনীয় তথ্য জনসম্মুখে ফাঁস করা সহ স্বয়ং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেন মাঠ পর্যায়ের ইলেক্ট্রিশিয়ানরা।ডিজিএম আবু বকর ছিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেন ওই অফিসের কর্মরত ইলেক্ট্রিশিয়ান সমিতি। ইলেক্ট্রিশিয়ান সমিতির সভাপতি মাইন উদ্দীন বলেন ডিজিএম আবু বকর ছিদ্দিক রামগতি উপজেলায় যোগদানের পর থেকে প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহকের মিটার সংযোগ নিতে জামানত পাইলে স্বাক্ষরের নামে প্রতি গ্রাহক থেকে ১৫০ টাকা হারে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। বিনা রশিদে আদায়কৃত ওই টাকা ফেরত চান ইলেক্ট্রিশিয়ান সমিতি।

অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বলছে ডিজিএম আবু বকর ছিদ্দিক রামগতি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগদানের পর বিদ্যুৎ অফিসে দালালদের প্রবেশ বন্ধ করে দেন।ইলেক্ট্রিশিয়ানদের অবৈধ সুবিধা গ্রহণও বন্ধ করে দেন তিনি। অবৈধ সুবিধা গ্রহণ ও দালালী করতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে ডিজিএমের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ করেন বলে জানান অফিসের কর্মকর্তারা। জানা যায়,রামগতি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জনবল কম থাকায় তৃনমূল পর্যায়ে তদারকি করাটা খুবই কঠিন হয়ে পড়ায় এই সুযোগে কয়েকজন ইলেক্ট্রিশিয়ান মাঠ পর্যায়ে সাধারণ গ্রাহক থেকে অফিস ও কর্মকর্তাদের নাম ব্যাবহার করে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করতেন। কিন্ত ডিজিএম আবু বকর ছিদ্দিক এই অবৈধ সুবিধা গ্রহণ বন্ধ করে দিলে ইলেক্ট্রিশিয়ানরা ডিজিএমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। নানা তালবাহানা করে বিদ্যুৎ অফিসের গোপনীয় তথ্য জনসম্মুখে ফাঁস করে দেওয়া সহ বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে এই সব মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ তুলেন তারা। বিষয়টি পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে জানানো হবে বলে জানান তারা।

সূত্র জানায়,ডিজিএম ও ইলেক্ট্রিশিয়ানদের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে।একে অপরের বিপরীত মুখী অবস্থানে।ডিজিএম আবু বকর ছিদ্দিক প্রায় ৫ বছর রামগতিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় এমন অভিযোগ কেউ করেনি।হঠাৎ কয়েকজন ইলেক্ট্রিশিয়ানের এই ধরনের অভিযোগে নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। এছাড়াও ইলেক্ট্রিশিয়ান মাইন উদ্দীনের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও অতিরিক্ত টাকা আদায় করা সহ বিদ্যুৎ অফিসের নাম করে নামে-বেনামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে ব্যাপক। কয়েক মাস পূর্বে চরসেকান্তর পল্লী বিদ্যুতের অফিসের সামনে জনতার গণধোলাইয়ের শিকার হন মাইন উদ্দীন।

এ বিষয়ে মাইন উদ্দীন বলেন,আমি ১৮শ মিটারের কাজ করছি।প্রতি মিটার থেকে ১৫০ টাকা করে নিয়েছেন ডিজিএম।এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রামগতি জোনাল অফিসের ডিজিএম আবু বকর ছিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমি কিছুই জানিনা। মিটার সংযোগের ব্যাপারে কোনো প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি। চাহিদা মোতাবেক সুবিধা ও দালালী করতে না দেওয়ায় তারা মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ তুলছে,যা মোটেও সঠিক নয়।

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম আবু তাহের বলেন, ইলেক্ট্রিশিয়ানগুলো মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে ব্যাপক হয়রানি করে থাকে।ডিজিএম বা আমাদের কর্মকর্তারা হয়ত অবৈধ সুবিধা না দেওয়াতে তারা এমন অবস্থা সৃষ্টি করে। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন