শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

পর্যটকে মুখরিত পারকি সৈকত

নুরুল আবছার তালুকদার, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার। সে সঙ্গে যোগ হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটি। সব মিলিয়ে ঈদের মতো টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে পারকিতে।
জানা যায়, আনোয়ারাতে দর্শনীয় স্থান অনেক হলেও ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে সমুদ্রের আকর্ষণ সবসময় একটু বেশি তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিদিন দূর দুরান্ত থেকে মোহছেন আউলিয়া (রহ.) ভক্ত ও সমুদ্রের বালুচরের প্রেমীরা এখানে ছুটে আসছেন এখানে।
করোনা সংক্রমণের বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সৈকতের রেস্টুরেন্টসহ ক্ষুদ্রে ব্যবসায়ীরা। পর্যটকরা আসতে শুরু করায় বদলে গেছে সৈকতের পরিস্থিতি। পর্যটক থাকায় ব্যবসায়ীদের চোখে-মুখে হাসির ঝিলিক। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের চিন্তার ভাঁজও বুলিয়ে দিয়েছে করোনার টিকা। প্রতি বছরের মতো এ বছরও পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত সৈকতের বালুচর। বিশেষ করে সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি শুক্র ও শনিবার। সে সঙ্গে ২১ ফেব্রুয়ারি রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সে সাথে স্কুল-কলেজের ক্লাসও বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে সহজ হয়েছে পর্যটকদের।
ঘুরতে আসা পর্যটক ব্যাংক কর্মকর্তা দিদার হোসেন রকি উনার কোনো এক জায়গায় বসে থেকে বেড়ানো ভালো লাগে না। তাই একদিন একটি নতুন জায়গা দেখতে মধুচন্দ্রিমাকে সার্থক করে তুলতে চান তিনি। তাইতো স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন এবার পারকি সমুদ্র সৈকতে। ভালোলাগার কথা বলতে গিয়ে জানান, ঠিক কক্সবাজারের মতো অতি দীর্ঘ না হলেও এখানেও রয়েছে সারি সারি ঝাউ গাছ আর বালুচর। সন্ধ্যায় সূর্য্যান্তের আবীর রঙের সমুদ্র এখান থেকেও দেখা যায়। তাই এখানে এসে তার ভালোই লাগছে। যা ব্যস্ত একঘেঁয়ে জীবনের অবসান ঘটিয়ে ভ্রমণ পিপাসুদের দিতে পারে বাড়তি প্রশান্তি।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি শুক্র ও শনিবার অনেক পর্যটক আসে এখানে। আর এরমধ্যে তিনদিন টানা ছুটিতে বেড়ে গেছে পর্যটক। করোনার সময়ে আমাদের ব্যবসা বন্ধ ছিল। এখন পর্যটকও আসছে, বেচাকেনাও বেড়েছে। করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ূম শাহ্ জানান, পারকি সমুদ্র সৈকত দেশের পর্যটক প্রেমীদের নিকট একটি জনপ্রিয় স্থান। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য হিসেবে খ্যাত এই সমুদ্র সৈকত যেন এক দৃষ্টি নন্দন প্রকৃতি। সারিবদ্ধ ঝাউ গাছের সবুজ প্রকৃতিতে গড়ে উঠা পর্যটকদের কাছে খুবই ভ্রমণ জনপ্রিয় জায়গা। সাগর ও প্রকৃতি প্রেমী পর্যটক এই সমুদ্র সৈকতের তিলোত্তমা রূপ দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৈকতে ছুটে আসেন হাজারো পর্যটক। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিভিন্ন নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সৈকতে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন