শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

চুনারুঘাটে শিশুহত্যার মূল আসামি গ্রেফতার

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

চুনারুঘাটে লালচান্দ বাগানের শিশু সুহাগ হত্যা মামলার এজাহারের মূল অভিযুক্ত আসামি ফজলু মিয়া (২৫)কে দীর্ঘ আড়াইমাস পর রাবার বাগানের গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। গতকাল গভীর রাতে চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চুনারুঘাট থানাধীন রাবার বাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ফজলু মিয়া উপজেলার লালচান্দ গ্রামের নবীর হোসেনের পুত্র। প্রসঙ্গত গেল বছর ৪ ডিসেম্বর শিশু সুহাগকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাঁশবাগানের ধোপাছড়া খালের মধ্যে পেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনায় জড়িত রঙগু মিয়ার ছেলে রাজু নামের একজনকে আটক করেন। পরে ৬ ডিসেম্বর সুহাগের মা বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু বককার খান জানান, সুহাগের পিতা হিরণ মিয়া মারা যাওয়ার পর থেকে সুহাগের মা আছমা তার সন্তানদের নিয়ে পিত্রালয়ে বসবাস করছিলেন। সুহাগের মামা আল আমিন প্রবাসী। দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে রয়েছেন। মামা আল-আমিন প্রবাসে থাকায় সুগহাগের মা আছমা তিন সন্তান নিয়ে ভাইয়ের বানানো বাড়িতেই বসবাস করছেন। সুহাগের মামা আল আমিন প্রবাসে থাকায় মামীর দিকে কু-দৃষ্টি পড়ে পাশের বাড়ির তিন বন্ধুর। আসামিরা সু-কৌশলে নিহত সুহাগকে ডেকে নিয়ে বলে তার মামিকে ফ্রুটো জুসের সাথে ঘুমরে টেবলেট খাওয়াতে। সুহাগ তাদের কথায় রাজি হয়নি বরং সুহাগ তার মা ও তার মামিকে জানায়। বিষয়টি সুহাগের পরিবার প্রধান আসামির মা আইয়ুব চানকে জানান। এরপর থেকে আসামিরা সুহাগের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত চার ডিসেম্বর রাত বারোটায় বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায় উল্লিখিতরা। পরদিন ৫ ডিসেম্বর সুহাগের নানার বাড়ির বসতঘরের পশ্চিম দিকে ধোপাছড়া খালের পানিতে গামছা দিয়ে বাধা রক্তাত অবস্থায় ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ প্রসঙ্গে চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফ জনান, সুহাগ হত্যা মামলায় রাজু ও ফজলু গ্রেফতারে আছেন। আরো একজন পলাতক। অপর আসামিসহ ও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। গত রোববার বিকেল সাড়ে তিনটায় তাকে আদালতের মাধ্যমে করাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন