শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

চৌগাছায় কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়ম : ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চৌগাছা (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা : যশোরের চৌগাছায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনে কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। যা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায় ১১টি ইউনিয়নে ৮০টি প্রকল্পের অধীনে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, খেলারমাঠ সংস্কার, ঈদগাহ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে মাটি ভরাট কাজের জন্য ১ কোটি ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ভুয়া প্রকল্প ও নকল মাস্টাররোল তৈরি করে ইতোমধ্যেই ১ম ও ২য় কিস্তিতে ২০ দিনের মজুরি টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন প্রকল্প সভাপতিরা। এদিকে শ্রমিকের তালিকায় যদের নাম রয়েছে তাদের অনেকেই জানেন না। অথচ প্রকল্পের তালিকায় তাদের নাম দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এছাড়া তালিকায় চাকরিজীবী সচ্ছল ব্যক্তিরা, কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের সরকার পল্লী-উন্নয়ন প্রকল্পের রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও খেলার মাঠ পুনঃ সংস্কার করার লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে চৌগাছা উপজেলায় ১ কোটি ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে এ সমস্ত কর্মসূচিতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বররা আত্মীয়-স্বজন ও চাকরিরত ব্যক্তির নাম শ্রমিকের তালিকাভুক্ত করেছে। প্রতিটি প্রকল্পে ৪০ জন শ্রমিকদের নাম খাতা-কলমে থাকলেও বাস্তবে তার কোন মিল নেই। কাজীর গরু গোয়ালে না থাকলেও খাতা-কলমে ঠিক আছে। চলতি বছর ৪০ দিনের প্রকল্প কর্মসৃজন কর্মসূচিতে ২ হাজার ৫০ জন শ্রমিক ও ৯৯ জন তদারককারীর কাজ করার কথা থাকলেও বাস্তবে মাত্র কয়েকশত শ্রমিক দায়সারাভাবে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে একাধিক ইউপি সদস্য জানান, অভিযোগগুলো সত্য না হলেও মিথ্যা নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, “ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সহযোগিতায় চলছে এই অনিয়ম ও লুটপাট। প্রকল্প সাইডে শ্রমিক যাই থাকে না কেন প্রকল্প সভাপতি ভুয়া মাস্টাররোল জমা দিয়ে সব ঠিকঠাক দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। এ সমস্ত প্রকল্পগুলো তদারকি করতে প্রত্যেক ইউনিয়নের জন্য ১ জন ট্যাগ অফিসার থাকলেও তারা কোন খোঁজখবর রাখেন না। এসব অনিয়ম ও লুটপাটের ফলে সরকারের সময়োপযোগী একটি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকসহ পিছিয়ে পড়া বিশাল জনগোষ্ঠী। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা ইয়ারুল হক তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে কোন অনিয়ম হচ্ছে না। কোন অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন