দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০২০।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মূল আয়োজনের সময় পরিবর্তন করে ২০২১ সালে নেওয়া হয়। আর ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২১’ মূল পর্বের প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত সেরা ৫০ প্রতিযোগী। নিবন্ধিত প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে সৌন্দর্য, শিক্ষা, প্রতিভা, বুদ্ধিমত্তাসহ আরও বিভিন্ন যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে শীর্ষ ৫০ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। আর সেটি নিয়ে বর্তমানে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। এমনকি অনিয়মের অভিযোগ তুললেন মডেল শান্তা পাল। এবারের আসরের একজন প্রতিযোগী ছিলেন তিনি।
শান্ত পালের এ অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে মডেল শান্ত পাল সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০২১’ অডিশনে প্রায় ৪ ঘণ্টা ছিলাম আমি। আমার সঙ্গে আরও ৬ জন ছিলেন। মাঝে হঠাৎ দেখি আমাদের সিনিয়র একজন মডেল ভেতরে ঢুকলেন। তার নাম মিথিলা। ভাবলাম হয়তো কোনো কাজে তিনি এসেছেন। এর পর বের হয়ে তিনি আরটিভির ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। তিনি যা বললেন তা শুনে আমি অবাক। তিনি নাকি প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছেন!’
এমন ঘটনার পর মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের একজনকে ফোন দেন শান্তা। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন ফোন দিলাম আমাকে বলা হলো মিথিলা আপু আগেই অডিশন দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমার সিরিয়াল ছিল ১৯২, আর মিথিলা আপুর ছিল ২০০’র ওপরে। তাহলে তিনি কীভাবে আগে অডিশন দিলেন।’
ফ্লোরা ব্যাংকের এক উর্ধ্বতন ব্যক্তির প্রেমিকা মিথিলা। এজন্যই তাকে এমন সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শান্তা পালের। তিনি বলেন, ‘ফ্লোরা ব্যাংকের মালিক ডিওকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মিথিলা আপুর। আমি বলে রাখলাম তিনিই এবার প্রথম স্থান পাবেন। আর মিথিলা আপুকে যারা চেনে, তারা সবাই জাবে তিনি খ্যাতির জন্য কী করতে পারেন।’
শান্ত পালের এই খবর প্রকাশ করেছেন কলকাতার গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’। সেখানে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর শফিক ইসলামের বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যারা বাদ পড়েছে, তারা নিজেদের প্রথম পঞ্চাশে দেখতে না পেয়ে হিংসায় এই ধরনের মিথ্যাচার করছে। বিশেষ করে একজন মডেলই এই অভিযোগ করছে। তার মানসিক সমস্যা আছে। এই অনুষ্ঠান টিভিতে দেখানো হবে। অডিশনের ভিডিওসহ সব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’
শান্তা পাল এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে আরও একটি পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, ‘মিস ইউনিভার্সের সব প্রতিযোগীরা কোথায়? তোমরা কি দেখনি মিথিলা অডিশন দেয়নি? তোমরা তো বলেছিলে, এই খোলা জামার মেয়ে অডিশন দেয়নি। আজ তোমরা কই গেলা। হ্যাঁ, ভিআইপি অডিশনের বিষয় আলাদা। নিজের সামনেই ক্যামেরার সামনে ইন্টারভিউ নিতে দেখেছিলাম। আর সেটি অডিশনের আগে। গর্বিত বাংলাদেশ! ভালো তো।
উল্লেখ্য, ‘২০১৯’ সালে প্রথমবার ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ অক্টোবর রাতে বসুন্ধরা কনভেনশনের নবরাত্রী হলে অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী শিরিন আক্তার শিলার নাম ঘোষণা করা হয়। কয়েক হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে মিস ইউনিভার্স মুকুট জিতে নেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন আনিশা ইসলাম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ জেসিয়া ইসলাম। বিজয়ী শিলার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড ও ভারতীয় তারকা সুস্মিতা সেন। ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ' এর বিজয়ী শিলা দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার ৬৮তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
মন্তব্য করুন