সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর আয়োজকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন এক প্রতিযোগী। নাম শান্তা পাল। তিনি ২০২০ সালে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় শান্তা জানিয়েছেন, তার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।
সৈয়দ আল হাসান শিমুল নামে এক সাংবাদিকের ফেসবুক থেকে শনিবার দুপুরে শান্তা পালের ভিডিও বার্তাটি পোস্ট করা হয়। যেখানে শান্তা জানান, নিজের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর আয়োজকদের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেছিলেন। তারপর থেকে তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। তার জীবন এখন ঝুঁকিতে আছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ভিডিওতে শান্তা বলেন, ‘আমি ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর গতবারের আসরের একজন পার্টিসিপেন্ট ছিলাম। আমার সাথে আনফেয়ার হয়েছে। শুধু আমি না, আমার সাথে আরও যারা ছিলেন, সবার সাথেই আনফেয়ার হয়েছে।’
‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতাকে পুরোপুরি আনফেয়ার উল্লেখ করে শান্তা বলেন, ‘এই প্রোগ্রামটা পুরোটাই ছিল প্রিপ্ল্যানড। আমি এটা নিয়ে অলরেডি এপিবি আনন্দসহ বাংলাদেশ এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন পেপারে কথা বলেছি। আমি একটা কেসও করেছিলাম বিষয়টা নিয়ে।’
শান্তার দাবি, ‘কেস করায় ওনারা (আয়োজক কর্তৃপক্ষ) আমাকে র্যাপিডলি হুমকি ধামকি দেয়। আমাকে প্রচন্ডভাবে ভয় দেখায় যে এইটা হলে এইটা হবে। ডিবি, পুলিশ করে কোনো লাভ নাই। এই সেই, টাকাপয়সা লাগবে। আমি একদম মিডল ক্লাস ফ্যামিলির একটা মেয়ে। আমার সাথে যে আচরণ হয়েছে, আমি এটার তীব্র নিন্দা জানাই।’
ওই তরুণী জানান, ‘আমি মিস ইউনিভার্সের আগে মিস এশিয়াতে নিজের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে এসেছিলাম। যার কারণে আমার ইচ্ছা ছিল, মিস ইউনিভার্সেও নিজের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করব।’
শান্তার অভিযোগ, ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-এর গ্র্যান্ড ফিনালে ছিল এপ্রিলে। তার আগেই আয়োজকরা মিস ইউনিভার্সের মেইন জায়গাতে মেইল পাঠিয়ে দেয় যে, তানজিয়া জামান মিথিলা উইনার, তাকে আমরা পাঠাচ্ছি আমাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য।’
শান্তার প্রশ্ন, ‘ফাইনালের আগে একটা মানুষ উইনার কীভাবে হয়? আমি এটার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আমি আইনের প্রতি প্রচন্ড সম্মান প্রদর্শন করি। যার কারণে আমি এটাও বলব যে, আমার লাইফ হুমকির মুখে। তারা প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি দিচ্ছে।’
তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন উল্লেখ করে শান্তা জানান, ‘আমি কেস করেছিলাম, ওরা সেই কেসটাকে মিথ্যাভাবে, কী করে যেন বন্ধ করে দিয়েছে। আমি সরকারকে এবং দেশের আইনকে রিকোয়েস্ট করব, এই কেসটাকে রি-ওপেন করে যেন সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করা হয়।
উল্লেখ্য, ‘মি ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর প্রথম আসর বসে ২০১৯ সালে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হন ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে শিরিন আক্তার শীলা। দ্বিতীয় আসর বসে ২০২০ সালে। সে বছর ঢাকা মেয়ে তানজিয়া জামান মিথিলাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর আর এই প্রতিযোগিতা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন