কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের গোলাগুলিতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার দায়িত্ব পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল বুধবার দুপুরে পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সীর নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পিবিআই এর তদন্তদলটি চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারের ঘটনাস্থল এবং নিহতের বাড়িতে গিয়েছেন। তারা নিহতের পরিবারের সদস্য, স্থানীয় লোকজন এবং সংঘর্ষের সময় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, ঘটনার পর উদ্ধারকৃত মুজাক্কিরের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন, একটি ভিডিও ক্যামেরা (মেমোরি কার্ড ছাড়া), একটি মানিব্যাগ, একটি ওটিজি কর্ট, বাজারের সিসিটিভি ফুটেজসহ সব আলামত বুধবার দুপুরে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী জানান, মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলাটির প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করবো।
গত শুক্রবার উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ ৭-৮জন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মুজাক্কির। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকালে নিহতের বাবা নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন