শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কেরানীগঞ্জে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে জিনজিরার গুলজারবাগে আয়মনা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে জানা যায়, আয়মনা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১২০ জন ছাত্রীকে উপবৃত্তির আওতাভুক্ত করে সেকায়েপ। অগ্রণী ব্যাংক জিনজিরা শাখার মাধ্যমে এসব ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু ছাত্রী বিবাহ জনিতকারণে, কিছু ছাত্রী অত্র বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে চলে যাওয়ায় এবং কিছু ছাত্রী অন্য কারণে দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও তাদের নামে উপবৃত্তির টাকা বিশেষ কৌশলে তুলে নেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সপ্তম শ্রেণীর তানজিলা আক্তার রিমা, অষ্টম শ্রেণীর ফাতেমা আক্তার, নবম শ্রেণীর শারমিন আক্তার, দশম শ্রেণীর প্রিয়া আক্তার, সুমাইয়া আক্তার ঝর্না বিবাহ জনিতকারণে দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছে। তাদের নামে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণীর স্বর্না আক্তার ও বন্যা আক্তার দুই জমজ বোন যারা এ বছর বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি তাদের নামেও টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এছাড়া অষ্টম শ্রেণীর দীপা রানী ম-ল, শিলা আক্তার, ইভা আক্তার, নবম শ্রেণীর পুষ্প মালা, সুলতানা আক্তার, ফারজানা আক্তার ও নাসরিন আক্তারের উপবৃত্তির টাকা বিশেষ কৌশলে উত্তোলন করার অভিযোগ রয়েছে। গত ২ আগস্ট উপবৃত্তির টাকা প্রদানের সময় যারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেনি তারা পরের দিন প্রধান শিক্ষকের কাছে টাকা চাইলে তাদেরকে টাকা দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল নাহার জানান, উপবৃত্তির টাকা নিয়ে কোন অনিয়ম পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অগ্রণী ব্যাংক জিনজিরা শাখার ম্যানেজার মো. নুরুল আমিন জানান, প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত চেকের মাধ্যমেই ছাত্রীদের টাকা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বিজন কৃষ্ণ বেপারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মিথ্যা। তার এই ঘটনার সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই। ব্যাংকের লোকজন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ছাত্রীদের টাকা দিয়ে যায়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। বিদ্যালয়ের অভিভাবক মহল এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন