শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

গোপালগঞ্জে অতিবর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে ৪৭ কোটি টাকার মাছ

প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা

গোপালগঞ্জে অতিবর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার মাছ ভেসে গেছে। এর মধ্যে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার চিংড়ি, ১৯ কোটি ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার কার্প জাতীয় মাছ ও নার্সারী থেকে ১ কোটি টাকার পোনা ভেসে গেছে। জেলার ৫ উপজেলার ৮ হাজার ৬১৪টি ঘের ভেসে ৭ হাজার ৬৬২ জন মৎস্য চাষী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গোপালগঞ্জ জেলা মৎস্য অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে ওই অফিস জানিয়েছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২২৫১টি, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ১১৪৭টি, কোটালীপাড়া উপজেলার ৫০৫০টি, কাশিয়ানী উপজেলার ১৪৫টি ও মুকসুদপুর উপজেলার ২০টি ঘের ভেসে গেছে। মোট ১৭৩২.২৩ হেক্টর ঘেরের কার্প জাতীয় মাছ ১৭৭৩.৩০ টন ও ৭৯৮ টন চিংড়ি মাছ ভেসে ৪৬ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জেলার ৫০টি নার্সারীর ৫৬.২৪ টন পোনা ভেসে গিয়ে ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপড়া উপজেলার ভেন্নাবাড়ি গ্রামের প্রভাষ বৈরাগী বলেন, গত ২১ ও ২২ আগষ্ট রোববার ও সেমবারের বৃষ্টিতে আমার ১২টি ঘের ভেসে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। নিজের সঞ্চিত অর্থ, ব্যাংক, মহাজন ও এনজিওর কাছ থেকে টাকা ঋন নিয়ে মাছ চাষ করেছিলাম। মাছ ভেসে গেছে। এখন কি নিয়ে বাঁচব? ঋণের বোঝা নিয়ে চোখে মুখে শর্ষের ফুল দেখছি। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ বলেন, বৃষ্টি আমার ইউনিয়নের মানুষের জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন কোটি কোটি টাকার মাছ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। মাছ চাষীদের নিঃস্ব করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলে তারা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। অন্যথায় তাদের দেনার দায়ে গাঁ ঢাকা দিতে হবে। কোটালীপাড়া উপজেরা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা বলেন, গত ২১ ও ২২ আগস্টের বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষী ও তাদের ঘেরের প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। এখন গ্রামে গ্রামে সার্ভে করে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম ও ক্ষতির পরিমাণ চূড়ান্তভাবে নিরূপণ করা হচ্ছে। গোপালগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল বলেন, ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তালিকা তাৎক্ষনিক ভাবে প্রনয়ন করে ২৪ আগস্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখন ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ের কাজ চলছে। এ তালিকা হাতে পেলেই প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন