লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সর্ববৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া কলাকোপা মাদরাসায় খতমে বোখারীর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (সোমবার) বাদে জহুর মাদ্রাসার জামে মসজিদে বোখারী শরীফের শেষ হাদিস পড়ান বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক ইসলামীক রিসার্চ সেন্টার ঢাকার শায়খুল হাদীস আল্লামা হারুন বোখারী, টংগি দারুল উলুম মাদরাসার শায়েখে ছানী হযরত মাওলানা মাহবুবুর রহমান। জামিয়া ইসলামিয়া কলাকোপা মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা মোহাম্মাদ আলীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন কলাকোপা জামিয়ার সাবেক মুহতামি হযরত মাওলানা আব্দুল হান্নান, জামিয়ার শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা আক্তার হোসাইন,জামিয়ার শিক্ষা সচিব মুফতী হারুনুর রশিদ, কলাকোপা মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল ইশ্রাফিল প্রমুখ।
জানা যায়,কওমী মাদরাসা গুলোর শিক্ষাবর্ষ শুরু হয় আরবী শাওয়াল মাসে। শেষ হয় রমজানের আগে। তখন দেখা যায়,পাঠদান শেষ হওয়ার কিছু অনুষ্ঠান। কেউ কোরআন খতম করে, কেউ হেফজ করে। বিশেষ করে সর্বশেষ উচ্চ শ্রেণী যথা (এম এ সমমান মাস্টার্স)তাকমিল বা দাওয়ায়ে হাদীসের ছাত্ররা শিক্ষা জীবন শেষ করে।কওমীদের সমাবর্তনের নাম দস্তারবন্দী। শব্দটি ফার্সি। বাংলা অর্থ পাগড়ী প্রদান অনুষ্ঠান। এর পাশাপাশি হাদীসের সিহাহ সিত্তা বা বিশুদ্ধতম ষষ্ঠ হাদীসগ্রন্থ সমূহের সমাপ্তি। যার সেরা কিতাবটির নাম বোখারী শরিফ। বোখারী রীতিমত পাঠ শেষ করে দোয়া করলে তা কবুল হয় বলে ১২০০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে।
এমনিতে ঐতিহ্য হলো, সারা বছর অন্তত বোখারীর পাঠে কোনো ছাত্র বা শিক্ষক অজু ছাড়া থাকেন না। দেশের সেরা শায়খুল হাদীস বা মুহাদ্দিসরাই বুখারী পড়ান, তাদের বলা হয় শাইখুল হাদীস। সব মাদরাসায় দেখা যায়,যারা হাদীস পড়ান তাদের চেয়ে বর্ষীয়ান, অভিজ্ঞ ও বুযুর্গ শাইখুল হাদীসদের দ্বারা বুখারীর শেষ পাঠদানটি দেওয়া হয়। যার নাম খতমে বুখারী। এসময় বিদায়ী ছাত্ররা তাদের অভিভাবকদের দাওয়াত করেন। কওমী মাদরাসায় এটি অতি পবিত্র ও আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান। এবছর দেশের হাজার-হাজার মাদরাসায় খতমে বুখারী অনুষ্ঠান হয়েছে। এর অংশ হিসেবে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার প্রায় শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া কলাকোপা মাদ্রাসায় খতমে বোখারীর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন