দীর্ঘদিন সংস্কার বা পুন:নির্মাণ না করায় পটুয়াখালীর রাঙাবালী থানা সংলগ্ন সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। ইটগুলো ওঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাশেই বিপজ্জনকভাবে ছাড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইটের টুকরো। এর মধ্যে দিয়েই প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। তাই একের পর এক ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এদিকে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকার ব্যাবসায়ীরা। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্কুল কলেজে পড়ুয়া শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, রাঙাবালী থানা থেকে শুরু করে পূর্ব বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার এ সড়ক হতে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে এইচবিবি দ্বারা দেড় কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে এলজিইডি। পরে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বাকি ১ কিলোমিটারও এইচবিবি সড়ক করা হয়। এতে নিন্মমানের ইট ব্যবহার করা হয়। যার কারণে চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই সড়টির ইটগুলো ভেঙে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এরপর আর এই সড়কটি সংস্কার করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, এ সড়কটির ওপর নির্ভর রাঙাবালী বাহেরচরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙাবালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছোটবাইশদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা ও আমলীবাড়িয়া সিনিয়র মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটিতে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করতে না পারায় দূরের পথ থেকে এসে স্কুল-কলেজ, মাদরাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে। অনেকের আবার বন্ধ হয়ে যায় স্কুল কলেজে আসা-যাওয়া। শুকনো মৌসুমে কোনভাবে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে চরম র্দূভোগ পোহাতে হয়। এছাড়াও প্রান্তিক এ এলাকার মানুষ কৃষি নির্ভর হওয়ায় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলা সদর, জেলা সদর ও গলাচিপা নিয়ে যেতে সিমাহীন কষ্ট ভোগ করতে হয়। সড়কটিতে বড় বড় খানাখন্দ থাকায় কৃষকদের কৃষিপণ্য যানবাহন মালিকরা বহন করতে অপারগতা প্রকাশ করে থাকেন। ব্যবসায়ী ও কৃষকদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের মাঝখান যেন কূপ এবং জলাশয়ে পরিণত হয়। প্রতিনিয়তই সেখানে প্রায় হাটু পানি জমে থাকে। ফলে জনসাধারনের দুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করে।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী তালেব ফকির জানান, সড়কটির করুন অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরেছে। আমরা ব্যাবসার মালামাল ঠিকভাবে আনা-নেয়া করতে পারিনা। যা পারা যায় তাও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। এ কারণে তাদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ও ভাটা পড়েছে। তাই সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিজানুল কবির জানান, সড়কটি পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য তার বরাদ্ধ থেকে অর্থ দেয়ার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেছে। বরাদ্ধ পেলে সড়ক নির্মাণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন